ইউটিউবে নিষিদ্ধ ভাষা ব্যবহারেও এড়ানো যাবে ‘ডিমনিটাইজেশন’

কোম্পানি আরও বলছে, “ভিডিও কনটেন্টের প্রথম সাত সেকেন্ডের পর আপত্তিকর ভাষা ব্যবহৃত হলে সেটিও মনিটাইজেশনের জন্য বিবেচিত হবে, যদি ভিডিও’র সিংহভাগ জুড়েই ক্রমাগত একই ভাষার ব্যবহার না থাকে।”

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2023, 08:34 AM
Updated : 10 March 2023, 08:34 AM

নিজস্ব প্ল্যাটফর্মের ভিডিওতে আপত্তিকর ভাষার ব্যবহার সংশ্লিষ্ট নীতিমালা শিথিল করবে ইউটিউব।

এর আগে নভেম্বরের আপডেটে এই বিষয়ে নতুন নীতিমালা কার্যকরের পর বেশ কিছু কনটেন্ট নির্মাতার সমালোচনার মুখে পড়ে সামাজিক প্ল্যাটফর্মটি। ওই নীতিমালার প্রভাব পড়া বিভিন্ন ভিডিও এখন পর্যালোচনা করে দেখবে কোম্পানিটি।

‘ক্রিয়েটর ইনসাইডার’ চ্যানেলে আপলোড করা এক ভিডিও’তে কোম্পানিটি বলছে, তারা নতুন নীতিমালা প্রয়োগ সংশ্লিষ্ট ডেটা পর্যালোচনা করে দেখেছে, এগুলোতে তাদের অনুমানের চেয়েও কঠোর পদ্ধতি অবলম্বণ করা হয়েছে।

এই আপডেটের মানে দাঁড়ায় নির্মাতারা সেইসব ভিডিও থেকে এখনও কিছু অর্থ আয় করতে পারবেন। এমনকি ভিডিও’র শুরুতে আপত্তিকর ভাষার ‘সামান্য ব্যবহার’ থাকলেও। তবে, এই বিধিনিষেধের নতুন এ আওতা এখনও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে ও পুরোপুরি আগের নীতিমালায় ফিরে যায়নি বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।

গত বছরের শেষে কোম্পানিটি নিজেদের বিজ্ঞাপনবান্ধব কনটেন্ট নির্দেশিকা পরিবর্তন করে বলে কোনো ভিডিও’র প্রথম ১৫ সেকেন্ডে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহৃত হলে সেটি ডিমনিটাইজ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এমন ভিডিও’তে প্ল্যাটফর্মটির বিজ্ঞাপন না চালানোর মতো বাধ্যবাধকতায় নির্মাতার অর্থ আয়ের উপায়ও সীমিত হয়ে যায়।

কোনো নির্মাতার গোটা ভিডিও’তে আপত্তিকর ভাষার ব্যবহার থাকলে (ঠিক কতোটা, সেটি পরিষ্কার নয়), তিনি কী পূর্ববর্তী নীতিমালার আওতায় পড়বেন কি না, তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। যেসব ভিডিও আপত্তিকর ভাষা সংশ্লিষ্ট পুরোনো নীতিমালার অধীনে তৈরি হয়েছিল, সেগুলো হঠাৎ করে বিজ্ঞাপন-বান্ধব হিসেবে বিবেচিত হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

নতুন নীতিমালায় এইসব পরিবর্তন পুরোপুরি ফিরে না এলেও কোম্পানিটি জানুয়ারিতে প্রতিশ্রুত কয়েকটি পরিবর্তন এনেছে প্ল্যাটফর্মে। উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, নতুন আপডেটে নির্মাতারা এখনও এমন ভিডিও থেকে অর্থ আয় করতে পারবেন, যেগুলোর প্রথম সাত সেকেন্ডে ‘ব্যপক মাত্রায় আপত্তিকর ভাষার’ ব্যবহার আছে। এর আগে এই ধরনের ভিডিও’তে বিজ্ঞাপন দেখানোর সুবিধা পুরোপুরি বন্ধ ছিল।

কোম্পানি আরও বলছে, “ভিডিও কনটেন্টের প্রথম সাত সেকেন্ডের পর আপত্তিকর ভাষা ব্যবহৃত হলে সেটিও মনিটাইজেশনের জন্য বিবেচিত হবে, যদি ভিডিও’র সিংহভাগ জুড়েই ক্রমাগত একই ভাষার ব্যবহার না থাকে।”

ভার্জ বলছে, সর্বশেষ এই আপডেট এসেছে এই ধরনের ভিডিও’র মনিটাইজেশন ব্যবস্থা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে।

তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও কিছুটা ধোয়াশা আছে। নির্মাতারা বলছেন, ‘ভিডিও’র সিংহভাগ’ বলতে ইউটিউব কি বোঝাতে চেয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। তবে, ইউটিউব যে সকল আপত্তিকর ভাষাকে একইভাবে বিবেচনায় নিচ্ছে না, তা মোটামুটি আঁচ করা যায়।

নভেম্বরের আপডেটে ইউটিউব মূলত সকল আপত্তিকর ভাষাকে এক কাতারে ফেলে দিয়েছিল। এখন সেখানে একাধিক শ্রেণি তৈরি করেছে প্ল্যাটফর্মটি।