আইফোন সাইলেন্ট মোডে থাকলেও ভাইব্রেশনের মাধ্যমে নোটিফিকেশন সম্পর্কে জানা যায়। আর, শ্রবণ প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য বিশেষ কার্যকর একটি ফিচার ভাইব্রেশন।
Published : 06 Jul 2024, 03:48 PM
আইফোন এমন এক ডিভাইস যা নকশা করা হয়েছে মানুষের সঙ্গে ব্যবহারকারীর সংযোগ স্থাপন করার উদ্দেশ্যেই। আর নতুন মেসেজ, ফোন কল ও অন্যান্য নোটিফিকেশনের জন্য এ ডিভাইসে জানান দেওয়ার নানা পদ্ধতিও রয়েছে।
এসব পদ্ধতির মধ্যে, ভাইব্রেশন ফিচারটি আলাদা। এর বাংলা অর্থ ‘কম্পন’, আর এ ফিচার চালু করলে একটি ফোন শব্দের পাশাপাশি কম্পনের মাধ্যমেও নতুন নোটিফিকেশন সম্পর্কে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে।
আইফোনের ভাইব্রেশন ফিচারটি ‘হ্যাপটিকস’ বলা হয়, আর এটি কাজে আসতে পারে বিভিন্ন উপায়ে। উদাহরণ হিসেবে, গুরুত্বপূর্ণ কোনো মিটিং যেখানে নিরবতা কাম্য, সে সময় ভাইব্রেশনের সাহায্যে ফোনের নোটিফিকেশন সম্পর্কে জানা যেতে পারে। পাশপাশি, একটি আইফোন সাইলেন্ট মোডে থাকলেও ভাইব্রেশন চালু করা থাকলে বিভিন্ন নোটিফিকেশন সম্পর্কে জানা যাবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ডিজিটাল ট্রেন্ডস।
এ ছাড়া, শ্রবণ প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য বিশেষ কার্যকর একটি ফিচার হ্যাপটিকস।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে একটি আইফোনে সহজেই হ্যাপটিকস ফিচার ব্যবহার করবেন।
আইফোনের সেটিংস অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই হ্যাপটিকস ফিচারটি চালু ও বন্ধ করে নেওয়া যাবে।
১. প্রথমে ডিভাইসের সেটিংস অ্যাপটি চালু করুন।
২. সেখান থেকে ‘সাউন্ডস অ্যান্ড হ্যাপটিকস’ অপশনটি বেছে নিন।
৩. ‘হ্যাপটিকস’ অপশনে চাপ দিন।
৪. রিংটোন, নোটিফিকেশন ও সতর্কতার সময় কী ধরনের হ্যাপটিকস সেটি বেছে নিন। ‘অলওয়েজ প্লে’, ‘প্লে ইন সাইলেন্ট মোড’, ‘ডোন্ট প্লে ইন সাইলেন্ট মোড’, ও ‘নেভার প্লে’, এ অপশনগুলো থাকবে।
৫. ওপরের একটি অপশন বেছে নিয়ে ব্যাক বোতামে চাপ দিন ও ‘সাউন্ডস অ্যান্ড হ্যাপটিকস’ পৃষ্ঠায় ফিরে যান। এখানে হ্যাপটিকস ফিচারটি আরও কাস্টমাইজ করা যাবে।
৬. ‘রিংটোন’ অথবা ‘টেক্সট টোন’ অপশনে চাপ দিন।
৭. রিংটোনে চাপ দিয়ে পরের পৃষ্ঠায় ‘হ্যাপটিকস’ অপশন বেছে নিন। এখানে কী ধরনের ভাইব্রেশন অনুভব করছেন সেটি পরখ করে বেছে নিতে পারবেন।
৮. একইভাবে টেক্সট টোন অপশনে গিয়ে, ‘হ্যাপটিকস’ অপশপন বেছে নিলে সেখানেও ভাইব্রেশন নিজে পরখ করে পছন্দ অনুসারে বেছে নিতে পারবেন।