এ স্পেসস্যুটটির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন চীনের সুপরিচিত নভোচারী ঝাই ঝিগাং ও ওয়াং ইয়াপিং। স্যুট পরা নভোচারীরা কীভাবে প্রয়োজন মতো বাঁকতে ও সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারেন তাও দেখিয়েছেন তারা।
Published : 01 Oct 2024, 04:04 PM
২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে চীনের নভোচারীদের। এ উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনায় আরও এক ধাপ এগিয়ে নভোচারীদের পরিধানের জন্য নতুন এক স্পেসস্যুট দেখাল দেশটি।
বিশেষভাবে নকশা করা এই নতুন স্পেসস্যুটটি উন্মোচন করে ক্রুরা বলছেন, দেশের মহাকাশ কর্মসূচিতে এক যুগান্তকারী মিশন হতে চলেছে এটি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে, সপ্তাহ শেষে উন্মোচন করা ‘চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সি (সিএমএসএ)’-এর নতুন লাল-সাদা রঙের স্পেসস্যুটটি তৈরিতে চাঁদের চরম তাপমাত্রা এবং বিকিরণ ও ধূলিকণা সহ্য করার বিষয়টি বিবেচনায় ছিল। কারণ, চাঁদের পৃষ্ঠে কাজ করার জন্য নভোচারীদের নমনীয়তা দেবে স্পেসস্যুটটি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, চাঁদে পাঠানোর জন্য তৈরি করা এই স্পেসস্যুটটিতে আছে একটি বিল্ট ইন বড় ও ছোট পরিসরের ক্যামেরা, একটি অপারেশন কনসোল ও একটি গ্লেয়ার-প্রুফ হেলমেট ভিসার।
এ স্পেসস্যুটটির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন চীনের সুপরিচিত নভোচারী ঝাই ঝিগাং ও ওয়াং ইয়াপিং। স্যুট পরা নভোচারীরা কীভাবে প্রয়োজন মতো বাঁকতে ও সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারেন তাও দেখিয়েছেন এই দুই নভোচারী।
এই নতুন প্রযুক্তির স্পেসস্যুটটি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওটি ক্যাপশন’সহ নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করেছেন স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্পেসএক্সের সঙ্গে বড় আকারে সরকারি চুক্তি বাড়িয়েছে নাসা। কারণ মহাকাশ গবেষণা ও এর রসদ বহন সংক্রান্ত কাজে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
এদিকে নাসা বলেছে, চাঁদে তাদের নভোচারী ‘২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরের আগে পাঠানো সম্ভব হবে না’। তবে চলমান প্রযুক্তিগত সমস্যা ও বড় বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে কোন দেশ প্রথমে চাঁদের পৃষ্ঠে পৌঁছাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।