ক্রোম ব্রাউজারে এইসব লেন্স আনার ফলে ব্যবহারকারীরা আরও কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। তবে এসব ফিল্টারের অভিজ্ঞতা ডেস্কটপে পুরোপুরি মিলবে না৷
Published : 24 May 2024, 12:44 PM
নতুন এক এক্সটেনশনের মাধ্যমে ক্রোম ব্রাউজারে নিজেদের অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর) লেন্স নিয়ে আসছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ স্ন্যাপচ্যাট।
২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময় কয়েকটি কোম্পানি অগমেন্টেড রিয়ালিটি ফিল্টার ও ব্যাকগ্রাউন্ড বদলের মাধ্যমে কিছু ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কখনও কখনও সেগুলো হয়তো কারো মুখে হাসিও ফুটিয়েছে।
এসব কোম্পানি তাদের এ ধরনের ফিল্টার এনে অনেককেই মহামারীর ধ্বংস ও কষ্ট ভুলতে সাহায্য করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
তবে, স্ন্যাপ-এর ক্ষেত্রে বিষয়টি পুরোপুরি এমন নয়। আগে থেকেই মার্কিন কোম্পানিটির একটি ডেস্কটপ ক্যামেরা অ্যাপ ছিল, যেখানে বিভিন্ন এআর ফোল্ডার অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে, গত বছর এটি বন্ধ করে দেয় কোম্পানিটি।
বর্তমানে ডেক্সটপে নিজেদের বিভিন্ন এআর লেন্সকে একটি ভিন্ন উপায়ে বা গুগলের ক্রোম এক্সটেনশনের মাধ্যমে নিয়ে আসছে কোম্পানিটি৷
ক্রোমের জন্য এ স্ন্যাপচ্যাট ক্যামেরা সরাসরি ব্যবহারকারীর ওয়েবক্যামে এআর লেন্স তৈরি করতে পারে। এরপরে ব্যবহারকারী ভিডিও কল, লাইভস্ট্রিম, ভিডিও রেকর্ডিং এবং আরও অনেক কিছুর জন্য এটি ব্যবহার করতে পারবেন৷
আগের ডেস্কটপ অ্যাপের বিপরীতে বর্তমানে এসব এআর লেন্স ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারীকে স্ন্যাপচ্যাট অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করতে হবে। এরপর ব্যবহারকারীরা নিজেদের তৈরি করা যে কোনো এআর কাস্টম লেন্স ব্যবহার করতে পারবেন।
ক্রোম ব্রাউজারে এইসব লেন্স আনার ফলে ব্যবহারকারীরা আরও কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট। তবে এসব ফিল্টারের অভিজ্ঞতা ডেস্কটপে পুরোপুরি মিলবে না৷ এদিকে, গত বছর থেকে এ ফিল্টারের ব্যবহার শুরু করেছে মাইক্রোসফট।
এইসব এআর লেন্স দীর্ঘকাল ধরে স্ন্যাপচ্যাটের পরিচয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এগুলো কোম্পানিটির সেইসব প্রধান ফিচারের মধ্যে একটি, যা শুরুরদিকে বিভিন্ন ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপের বিক্রির পাশাপাশি স্ন্যাপচ্যাটকে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে৷
তাই যতটা সম্ভব এসব ফিচার ব্যবহার করা স্ন্যাপ-এর পক্ষে সহজ। ব্যবহারকারীরা বন্ধুদের সঙ্গে আরেক ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ‘ডিসকর্ড’-এর মাধ্যমে ভিডিও কলে কথা বলার সময় এসব লেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের আশপাশে বিভিন্ন জিনিসকে খানিকটা প্রাণবন্ত করতে পারেন।
তবে, একটি গুরুত্বপূর্ণ কনফারেন্স কলের সময় কেউ যদি এসব ফিল্টার বিশেষ করে ‘শুটিং স্টার ইফেক্ট’ বা ‘ভার্চুয়াল ফ্রগ হেডপিস’ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে তা কেমন দেখাবে সেটি কল্পনা করাও কঠিন।