১০ জনের মধ্যে একজন মনে করেন, অর্থ সামলানো বা ইন্টারনেটে কেনাকাটায় কোন পণ্যে ছাড় চলছে তা খুঁজে বের করার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় ইন্টারনেট দক্ষতা নেই।
Published : 10 Oct 2024, 04:12 PM
বিভিন্ন অনলাইন টুল ব্যবহারে আস্থার অভাব রয়েছে অনেকের এবং এতে তাদের অর্থ, কাজের সুযোগ ও কাযকর সময় নষ্ট হচ্ছে– এমনই উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল দাতব্য সংস্থা ‘গুড থিংস ফাউন্ডেশন’-এর গবেষণা বলছে, অনলাইনে চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করার জন্য যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী নন এক ২৬ শতাংশ বা চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষ।
এমনকি ১০ জনের মধ্যে একজন মনে করেন, অর্থ সামলানো বা ইন্টারনেটে কেনাকাটায় কোন পণ্যে ছাড় চলছে তা খুঁজে বের করার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় ইন্টারনেট দক্ষতা নেই।
‘গুড থিংস ফাউন্ডেশন’ বলেছে, ব্রডব্যান্ডে প্রবেশাধিকার নেই এমন পাঁচ শতাংশ মানুষের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাসের অভাব আরও বেড়েছে। এর মানে হচ্ছে, ‘ডিজিটাল ডিভাইড’ বা ডিজিটাল বিভাজনের প্রভাব আরও বেড়েছে, বিশেষ করে এই চলমান জীবনযাত্রার ব্যয়ের চাপের মধ্যে।
কেনাকাটায় অর্থ বাঁচানো ও কাজের বিভিন্ন সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, ১৫ শতাংশ মানুষ অনলাইন টুল ব্যবহারে আস্থা রাখেন না, কারণ এগুলো তাদের ‘নিরাপদ ও সুরক্ষিত’ রাখবে, এমন ভরসা তারা পান না। ব্রডব্যান্ডে প্রবেশাধিকার নেই এমন ব্যক্তিদের মধ্যে এই সংখ্যা ২২ শতাংশ বেড়েছে।
এ ছাড়া, অনলাইনে নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন ৬১ শতাংশ মানুষ, অনলাইন স্ক্যামের মুখোমুখি হন ৩১ শতাংশ মানুষ এবং ৯ শতাংশ মানুষের ধারণা, কোনও স্ক্যাম শনাক্ত করতে পারেন না তারা, যা সম্ভবত তাদেরকে অনলাইন টুল ব্যবহার থেকে আরও দূরে ঠেলে দিয়েছে।
গবেষণাটি করার জন্য যুক্তরাজ্যের দুই হাজার সাত জন মানুষের ওপর জরিপ চালিয়েছে ‘গুড থিংস ফাউন্ডেশন’।
“যুক্তরাজ্যে ডিজিটাল বিভাজন কমিয়ে আনার জরুরি প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে গবেষণার বিভিন্ন ফলাফলে,” বলেছেন ‘গুড থিংস ফাউন্ডেশন’-এর দলের প্রধান নির্বাহী হেলেন মিলনার।
“বর্তমান সময়ে জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের মধ্যে ডিজিটাল দক্ষতা কেবল সুবিধাই নয়, বরং সমাজে পুরোপুরিভাবে অংশগ্রহণের ভিত্তি, মানুষকে অর্থ সামলাতে, কর্মসংস্থান খুঁজে পেতে ও অনলাইনে নিরাপদ থাকতেও সক্ষম করে তোলে এটি।”
“ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে পার্থক্য ক্রমশ বাড়ছে,” বলেছেন ‘ন্যাশনাল ডিজিটাল ইনক্লুশন নেটওয়ার্ক’-এর অংশ ‘স্কিলস এন্টারপ্রাইজ’-এর প্রধান নির্বাহী মালতি মুথু।
“জীবনযাত্রার ইতিবাচক মানের জন্য ডিজিটাল দক্ষতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের অবস্থা এখনই অনেকটাই খারাপ।”
“যুক্তরাজ্যের নিউহ্যাম হাবে আমরা এমন অনেক মানুষ দেখছি যারা অনলাইনে যাওয়ার মতো দক্ষতা বা উপায় না থাকার কারণে মনে করেন তারা হারিয়ে গেছেন।”