ফ্রিডের আরেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আলামেডা রিসার্চের নেতৃত্বে ছিলেন এলিসন। এলিসনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও এ নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।
Published : 24 Jul 2023, 02:05 PM
ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এফটিএক্স-এর সোনালি দিন এখন অতীত, নিকট ভবিষ্যতে তার ধারেকাছেও যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এখন তদন্ত আর বিচার চলছে, এর প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ব্যাংকম্যান ফ্রিড কতটা দায়ী কোম্পানিটির পতনের পেছনে। এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, মামলা চলাকালে প্রকাশ্যে কতটা মুখ খুলতে পারবেন এই উদ্যোক্তা - তা নিয়ে।
স্যাম ব্যাংকম্যান ফ্রিডের সঙ্গে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক সংবাদকর্মীর আলোচনা মামলার সাক্ষীকে ‘প্রভাবিত করেছে’, বাদীপক্ষের এমন অভিযোগ উঠেছে আদালতে। স্বাভাবিকভাবেই এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ফ্রিডের আইনজীবিরা।
তবে, এই অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ‘গ্যাগ অর্ডার’ মেনে নিতে রাজী হয়েছেন ফ্রিডের পক্ষ। ফ্রিডের বিরুদ্ধে আনা আর্থিক জালিয়াতি মামলার বিচারককে দেওয়া এক চিঠিতে বিষয়টি উল্লেখ করেন তারা।
মামলা চলাকালে অনেক সময়ই আদালত বিশেষ কিছু বিষয়ে মুখ খুলতে বারণ করে আদেশ দেয়। এই আদেশই কথ্য ভাষায় ‘গ্যাগ অর্ডার’ নামে পরিচিত।
ব্যাংকম্যান ফ্রিড ও তার মিত্ররা মামলা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকাশ্য বক্তব্য দিলে তা মামলায় প্রভাব ফেলতে পারে- এমন যুক্তি দিয়ে বাদীপক্ষ নিষেধাজ্ঞার আবেদন করার পরপরই রোববার ওই চিঠি প্রকাশ পেল।
নভেম্বরে পাওনাদারদের অর্থ পরিশোধ না করতে পেরে দেউলিয়া সুরক্ষার আবেদন করে এক সময় তিন হাজার দুইশ কোটি ডলার মূল্যমানের ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ এফটিএক্স। তবে, এতে আর্থিক জালিয়াতি সংশ্লিষ্ট অভিযোগ নাকচ করেছেন ব্যাংকম্যান-ফ্রিড।
রয়টার্স বলছে, ওই চিঠিতে ফ্রিডের অ্যাটর্নি নিশ্চিত করেন যে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তিগত নথি সরবরাহ করেছেন ফ্রিড। এর মধ্যে রয়েছে তার সাবেক সহকর্মী ক্যারোলিন এলিসনের লেখা নথি, যিনি মার্কিন সরকারকে সহযোগিতা করছেন।
“ফ্রিড এই মামলার সুরক্ষা আদেশ বা জরিমানার শর্ত অথবা নিজের আচরণ নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট কোনো আইন লঙ্ঘন করেননি।” --চিঠিতে বলেন ফ্রিডের আইনজীবি মার্ক কোহেন।
“ইনসাইড দ্য প্রাইভেট রাইটিংস অফ ক্যারোলিন এলিসন, স্টার উইটনেস ইন দ্য এফটিএক্স কেইস’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস। এতে এফটিএক্স পতনের আগে এলিসনের ব্যক্তিগত ‘গুগল ডক্স’-এর উদ্ধৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া, নিজের চাকরি নিয়ে ‘অসুখী’ হওয়ার পাশাপাশি ফ্রিডের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ নিয়ে ‘বেদনার’ কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
ফ্রিডের আরেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আলামেডা রিসার্চের নেতৃত্বে ছিলেন এলিসন। এ ছাড়া, বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করে বাদীপক্ষকে সহযোগিতা করতে সম্মত হন তিনি। ডিসেম্বরে এলিসনের সঙ্গে নিজ সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি ফ্রিড।