সম্প্রতি মাইক্রোসফটের সিনিয়র লিডারশিপ টিমসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের অ্যাকাউন্টে ঢুকে নজরদারী চালিয়েছিল ‘মিডনাইট ব্লিজার্ড নামের দলটি।
Published : 26 Jan 2024, 02:48 PM
রাশিয়ান গোয়েন্দাদের সঙ্গে যুক্ত হ্যাকারদের আক্রমণের শিকার হয়েছিল মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি এইচপি এন্টারপ্রাইজ।
যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে’র কাছে পেশ করা নথিতে গত বছরের এ হ্যাকিংয়ের ঘটনা প্রকাশ করেছে এই পিসি নির্মাতা কোম্পানিটি।
রাশিয়ার সরকার সমর্থিত হ্যাকারদল ‘মিডনাইট ব্লিজার্ড’ই সম্ভবত এ আক্রমণ চালিয়েছে বলে উঠে এসেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদনে। তারা ‘কোজি বেয়ার’ নামেও পরিচিত। সম্প্রতি মাইক্রোসফটের সিনিয়র লিডারশিপ টিমসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের অ্যাকাউন্টে ঢুকে নজরদারী চালিয়েছিল দলটি।
সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানি ‘সোলারউইন্ড’-কে আক্রমণের পেছনেও এ দলটির হাত ছিল বলে লিখেছে এনগ্যাজেট। সে আক্রমণে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও ‘হোমল্যান্ড সিকিউরিটি’সহ যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সরকারি সংস্থা আক্রান্ত হয়েছিল।
পাশাপাশি, ২০২০ সালে দলটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডা থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের গবেষণা বিষয়ক তথ্য চুরির চেষ্টা করেছে বলে আগেই অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি’।
এইচপির পেশ করা নথি অনুসারে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখে একজন হ্যাকার কোম্পানির ক্লাউডভিত্তিক ইমেইল পরিবেশে প্রবেশ করেছিল বলে জানতে পারেন তারা।
কোম্পানির বাইরের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করে তারা জানতে পারেন হ্যাকাররা কর্মীদের ইমেইল অ্যাকাউন্টের ‘একটি ছোট শতাংশে’র তথ্য চুরি করেছিল, যার মধ্যে কোম্পানির সাইবার নিরাপত্তা দলসহ অন্যান্য বিভাগের কর্মীদের তথ্য ছিল।
কী ধরনের তথ্য চুরি হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করেনি এইচপি। তবে, কোম্পানিটি ধারণা প্রকাশ করেছে, ঘটনাটি ২০২৩ সালের মে মাসে ঘটা একটি হ্যাকিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সে সময়ে হ্যাকাররা ‘সীমিত সংখ্যক শেয়ারপয়েন্ট ফাইল’ চুরি করতে পেরেছিল বলে লিখেছে এনগ্যাজেট।
শেয়ারপয়েন্ট ব্যবহার করা হয় নথি ব্যবস্থাপনার কাজে, এটি মাইক্রোসফট ৩৬৫-এর একটি সহযোগী প্ল্যাটফর্ম।
‘এই ঘটনাটি মাইক্রোসফটের তথ্য চুরির সঙ্গে যুক্ত কিনা তা কোম্পানি বলতে পারছে না।’ – বলেছেন এইচপির মুখপাত্র অ্যাডাম আর বাউয়ার।
বাউয়ার আরও বলেন, হ্যাকিংয়ের শিকার মেইলবক্স ও ইমেইলের মোট সংখ্যা নিয়ে তদন্ত চলছে।
এখন পর্যন্ত এইচপি’র তদন্তে দেখা গেছে হ্যাকিংয়ের ফলে তাদের কার্যক্রম প্রভাবিত হয়নি। তবে, এখনও ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে কোম্পানিটি। পাশাপাশি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গেও তারা কাজ করছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট।