‘অ্যাকাউন্ট’ শব্দটি অনলাইনে আরও সহজবোধ্য শব্দ, যা ইন্টারনেট ব্যাংকিং, স্ট্রিমিং পরিষেবা, ইমেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে জড়িত।
Published : 24 Aug 2024, 07:00 PM
আসন্ন অপারেটিং সিস্টেম বা আইওএস ১৮ চালুর সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের বিভিন্ন পরিষেবার লগ-ইন সিস্টেম রিব্র্যান্ডিং বা রদবদল করবে টেক জায়ান্ট অ্যাপল। এর আওতায় শিগগিরই অ্যাপল আইডি বদলে গিয়ে ‘অ্যাপল অ্যাকাউন্ট’ হিসাবে পরিচিতি পাবে।
কিন্তু এই নতুন ‘অ্যাপল অ্যাকাউন্ট’ কী বা এটি কবে চালু হবে ও অ্যাপলের বিভিন্ন ডিভাইসে এই পরিবর্তন কেমন প্রভাব ফেলবে সে সম্পর্কে ব্যবহারকারীর যা জানা দরকার তা জেনে নেওয়া যাক—
অ্যাপল আইডি কী?
অ্যাপল আইডি হচ্ছে অ্যাপলের বিভিন্ন ডিভাইস যেমন– আইফোন, ম্যাক, অ্যাপল ওয়াচ বা অন্যান্য অ্যাপল ডিভাইসের একটি অপরিহার্য বা অবিচ্ছেদ্য অংশ।
অ্যাপ স্টোর, আইক্লাউড, অ্যাপল টিভি ও অ্যাপল মিউজিকের মতো বিভিন্ন পরিষেবাতে সাইন ইন বা কেনাকাটা করার সময় ব্যবহারকারী কে তা যাচাই করে অ্যাপল। একইসঙ্গে অযাচিত ব্যবহারকারীদেরও (যারা হয়ত আপনার পাসকোডও জেনে ফেলেছে, তাদের) এখানে প্রবেশ করা থেকে দূরে রাখে।
প্রথমবার অ্যাপলের নতুন কোনও গ্যাজেট চালু করার সময় ব্যবহারকারীকে অবশ্যই একটি অ্যাপল আইডি তৈরি করতে হয় বা নিজের অন্য ডিভাইসে আগে থেকেই ব্যবহার করা হচ্ছে এমন আইডি ব্যবহার করতে হয়।
এ সিস্টেমটি অ্যাপলের বিভিন্ন পরিষেবায় সাইন ইন করতে ব্যবহারকারীর ইমেইল ব্যবহার করে। নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এতে সাইন ইন করতে হয়।
সিস্টেমটি একবার চালু হয়ে গেলে ব্যবহারকারী নিজেকে যাচাই করতে ও প্রতিবার পাসওয়ার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ডিভাইসে ‘ফেইস আইডি’ বা ‘টাচ আইডি’ সেট আপ করে নিতে পারেন।
প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অ্যাপলে এ সিস্টেমটি রয়েছে। ‘আইটিউনস স্টোর’-এ প্রবেশ করার জন্য ২০০০ সালে এটি চালু করে অ্যাপল। এরপর থেকে অ্যাপলের বিভিন্ন পরিষেবার জন্য কেন্দ্রীয় বা মূল অ্যাকাউন্ট হয়ে উঠেছে এটি।
কী কী পরিবর্তন হচ্ছে?
বর্তমানে অ্যাপল আইডিকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাচ্ছে টেক জায়ান্টটি। নিজেদের সাইন-ইন সিস্টেমের জন্য একটি নতুন শব্দ তৈরি করেছে অ্যাপল, যেখানে শুরুরদিকে কোনোও বিভ্রান্তি ছাড়াই তরুণ থেকে বৃদ্ধ বয়সের প্রত্যেকের জন্যই অ্যাপল ডিভাইসের ব্যবহার অনেক সহজ হবে বলে দাবি অ্যাপলের।
অ্যাপল অ্যাকাউন্ট কী?
সেপ্টেম্বরে আসবে আইওএস ১৮, সে সময় ব্যবহারকারীদের অ্যাপল আইডিকে ডাকা হবে ‘অ্যাপল অ্যাকাউন্ট’ হিসেবে। তবে এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের আগে থেকে থাকা বিভিন্ন প্রামাণ সূত্র, বিশেষ করে ইমেইল ও পাসওয়ার্ড একই থাকবে।
‘অ্যাপলের বিভিন্ন পরিষেবা ও ডিভাইস জুড়ে একটি ধারাবাহিক সাইন-ইন অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্যই এই নতুন সিস্টেমটিকে ডিজাইন করা হয়েছে’, বলেছে অ্যাপল।
এই রিব্র্যান্ডিং বিভ্রান্তিকর কি না, এ নিয়ে ব্যবহাকারীদের মধ্যে মতভেদ তৈরি হতে পারে। এমনকি অনেক ব্যবহারকারী যুক্তি দিতে পারেন, ‘আইডি’ শব্দটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো খুব বেশি অফিসিয়াল শনাক্তকরণের মতো শোনায়৷
তাই এর বিপরীতে ‘অ্যাকাউন্ট’ শব্দটি অনলাইনে আরও সহজবোধ্য শব্দ, যা ইন্টারনেট ব্যাংকিং, স্ট্রিমিং পরিষেবা, ইমেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে জড়িত।
এর কী প্রভাব পড়বে?
এখানে জোর দিয়ে বলা গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রাথমিকভাবে অ্যাপলের একটি কসমেটিক রিব্র্যান্ডিং প্রচেষ্টারই অংশ এটি। মানে, পরিবর্তন কেবল চেহারায় হচ্ছে, মূল কারিগরি বিষয় একই থাকছে। এক্ষেত্রে নিজেদের লগইনের বিস্তারিত তথ্যের ব্যবহার যথারীতি চালিয়ে যেতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। বিভিন্ন অ্যাপল ডিভাইস বা পরিষেবাতে কীভাবে ব্যবহারকারীরা সাইন ইন করবেন সেটারও তাৎক্ষণিক কোনোও পরিবর্তন এখানে প্রভাব ফেলবে না।