কল অব ডিউটি: সেপ্টেম্বরে বন্ধ হচ্ছে ওয়ারজোন ব্যাটল রয়্যাল

কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কল অফ ডিউটি ফ্রাঞ্চাইজের ‘ফ্রি-টু-প্লে’ ব্যাটল রয়্যাল গেইম ‘ওয়ারজোন’।

২১ সেপ্টেম্বর থেকে একেবারেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ‘ওয়ারজোন ক্যালডেরা’ নামে পরিচিত গেইমটি। ফলে, গেইমের ডেভেলপাররা ফ্রি-টু-প্লে ‘ওয়ারজোন (মূল নাম ‘ওয়ারজোন ২.০’)’অভিজ্ঞতা’সহ ভবিষ্যতের কল অফ ডিউটি কনটেন্টে মনযোগ দিতে পারবেন বলে ব্লগ পোস্টে লিখেছে গেইমের নির্মাতা কোম্পানি অ্যাক্টিভিশন।

ওই তারিখ থেকে ওয়ারজোনের গেইমপ্লে, গেইমারের অগ্রগতি, ইনভেন্টরি ও অনলাইন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে। তবে, ‘মডার্ন ওয়ারফেয়ার’, ‘ব্ল্যাক অপস কোল্ড ওয়ার’ বা ‘ভ্যানগার্ড’ গেইমে ক্যালডেরা থেকে কেনা সকল কনটেন্টে প্রবেশাধিকার এখনও থাকবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।

২০২০ সালে দুটি গেইমপ্লে মোড (‘ব্যাটল রয়্যাল’ ও ‘প্লান্ডার’) নিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে ওয়ারজোনের। আর এর ‘ভারডান্সক’ নামের একক ম্যাপ একসঙ্গে দেড়শ গেইমার সমর্থন করতে পারে। ২০১৯ সালের মডার্ন ওয়ারফেয়ার গেইমে বিভিন্ন ‘ব্যাটল পাস’, অস্ত্র ও প্রসাধনীও সরবরাহ করত এটি। উন্মোচনের ১০ দিনের মধ্যেই তিন কোটি গেইমার যোগ দেওয়ায় রাতারাতি সাফল্য পায় গেইমটি।

পরবর্তীতে ২০২১ সালে গেইমে ‘ক্যালডেরা ম্যাপ’ সংযোজন করায় ২০২২ সালের নভেম্বরে গেইমটির নাম বদলে রাখা হয় ‘ওয়ারজোন ক্যালডেরা’। তবে, সম্প্রতি গেইমটির নাম পুনরায় বদলে রাখা হয়েছে ‘ওয়ারজোন’। আর অ্যাক্টিভিশনও মূলধারার ওয়ারজোন গেইমারদের নতুন শিরোনামে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

“তিনটি ব্যাটল রয়াল ম্যাপে (চতুর্থ সিজনের নতুন ম্যাপ ‘ভনডেল’সহ) বিশাল সংখ্যক গেইমপ্লে বাছাইয়ের সুবিধা পাবেন গেইমাররা। আর র‍্যাংকিংভিত্তিক গেইমিংয়ের সুযোগ দেওয়া ‘ডিএমজি বেটা’ সংস্করণে পাঁচটি ভিন্ন ‘এক্সট্র্যাকশন জোন’ ও ‘ব্ল্যাকসেল’সহ আরও অনেক সুবিধা থাকবে।” --লিখেছে কোম্পানিটি।

তবে, কিছু গেইমার এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এর পক্ষে তাদের যুক্তি, ফ্রাঞ্চাইজের ‘ব্ল্যাক অপস ৪’ গেইমের ব্যাটল রয়্যাল ‘ব্ল্যাকআউটের’ সার্ভার এখনও কার্যকর থাকলে, মূল ওয়ারজোন গেইমে এমনটি না ঘটার কারণ কী?

গেইমের বিভিন্ন উপাদান ‘ওয়ারজোন: মোবাইল’-এ সরিয়ে নেওয়া নিয়েও অসন্তুষ্ট গেইমারদের একটি অংশ। গেইমবিষয়ক সাইট কোটাকু’র তথ্য অনুসারে, নিজস্ব ‘ওয়ারজোন কসমেটিক্স’ হারিয়ে ফেলতে পারেন, এমন শঙ্কার কথাও বলছেন কেউ কেউ।