প্রায় ৬৯ শতাংশ মানুষ টিভি চ্যানেলকে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ উৎস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যেখানে অনলাইন চ্যানেলের ক্ষেত্রে এই হার কেবল ৫৩ শতাংশ।
Published : 11 Sep 2024, 11:05 AM
বর্তমানে মানুষের খবর বা সংবাদ পাওয়ার ধরন পাল্টাচ্ছে— এমনই উঠে এসেছে অফকমের সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
এতে দেখা গেছে, ১৯৬০ এর দশকের পর এই প্রথম অনলাইন সাইট ও অ্যাপস এখন টিভি সংবাদের চেয়েও বেশি জনপ্রিয়। তবে উৎস হিসাবে এখনও বেশি নির্ভরযোগ্য টিভি এবং রেডিওর সংবাদগুলো।
“ষাটের দশক থেকেই মানুষের খবরের অভ্যাসে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে টেলিভিশন এবং এটি এখনও সত্যিকার অর্থেই আস্থার দাবি রাখে,” বলেছেন অফকমের ‘স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড রিসার্চ’ বিভাগের গ্রুপ ডিরেক্টর ইয়েহ-চৌং তেহ।
“তবে আমরা অনলাইন সংবাদের প্রতি নতুন প্রজন্মের ঝোঁক দেখছি, যে উৎসটি নির্ভযোগ্যতায় খানিকটা পিছিয়ে আছে।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টিভি সংবাদের প্রসার ধীরে ধীরে কমে এসেছে এবং গত বছরই এই হার ৭৫ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশে নেমে এসেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ।
অফকমের এক বার্ষিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৭১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এখন তাদের খবর অনলাইনেই খোঁজেন।
যুক্তরাজ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ ৫২ শতাংশ মানুষ সংবাদের জন্য ফেইসবুক, ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার করেন, যা ২০২৩ সালে ছিল ৪৭ শতাংশ।
এখনও পর্যন্ত তরুণদের জন্য সংবাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হল অনলাইন। তবে বয়স্করাও খবরের জন্য ধীরে ধীরে অনলাইনের প্রতি ঝুঁকছেন।
৫৫ বছরের বেশি বয়সী অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ ৫৪ শতাংশ মানুষ এখন অনলাইনে সংবাদ খুঁজে পান, যাদের বেশিরভাগই সরাসরি নিউজ ওয়েবসাইটে গিয়ে খবর পড়েন। এই শ্রেণির কেবল ২৮ শতাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ পড়েন।
অনলাইন সংবাদের দিকে ঝুঁকলেও এখনো টিভি ও রেডিওর ওপর বেশি আস্থা রাখে মানুষ। প্রায় ৬৯ শতাংশ মানুষ টিভি চ্যানেলকে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ উৎস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যেখানে অনলাইন চ্যানেলের ক্ষেত্রে এই হার কেবল ৫৩ শতাংশ।
জরিপের প্রথম পর্বটি যুক্তরাজ্যের শ্রোতাদের জন্য গণমাধ্যম কতটা ভালোভাবে সংবাদ সরবরাহ করেছে তা দেখার পাশাপাশি কিভাবে অনলাইন গণমাধ্যম দর্শকদের জন্য সহজলভ্য করা হয়েছে তা দেখা হবে।
এ ছাড়া ভবিষ্যতে গণমাধ্যমকে সহায়তার জন্য প্রবিধান বা আইন পরিবর্তনের সম্ভাব্য নানা বিকল্প বিবেচনা করা হবে দ্বিতীয় পর্বে।