তবে বাদীপক্ষের দাবি নাকচ করে দিয়ে ম্যাচ বলেছে, “মামলাটি হাস্যকর ও এর কোনো ভিত্তি নেই।”
Published : 16 Feb 2024, 03:08 PM
টিন্ডারের মালিক কোম্পানি ম্যাচ গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযোগ, টিন্ডার, হিঞ্জ ও দ্য লিগের মতো ডেটিং অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীর আসক্তি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বানিয়েছে কোম্পানিটি।
মামলার বাদী পক্ষ একে ক্লাস অ্যাকশন মামলা হিসাবে গ্রহন করার আবেদন করেছে। ‘ক্লাস-অ্যাকশন’ হল এমন এক মামলা যেখানে বাদীপক্ষ একজন হলেও তিনি একই ধরনের ঘটনার শিকার অনেকের প্রতিনিধিত্ব করেন ও বাদী জয়ী হলে মামলার রায় ভুক্তভোগী সবার জন্যই প্রযোজ্য হয়।
বুধবার দায়ের করা এ মামলায় আরও উল্লেখ রয়েছে, এ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে কোম্পানিটি সম্পর্ক তৈরিতে সহায়তা করার চেয়ে আর্থিক লাভই বেশি তুলছে।
মামলায় বাদীপক্ষের দাবি, ম্যাচের ‘আগ্রাসী’ ব্যবসায়িক মডেল বিভিন্ন গ্রাহক সেবার নামে সেইসব ব্যবহারকারীর সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের কাছ থেকে বছরে শত শত ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে, যারা সত্যিই ভালোবাসার খোঁজে তাদের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করছেন।
“এতে তারা এমন এক অ্যালগরিদমের সহায়তা নিচ্ছে, যেখানে কোম্পানির বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে বাধ্য করে পুরস্কার প্রাপ্তির প্রলোভন দেখানো হয় ব্যবহারকারীকে।” – উল্লেখ রয়েছে অভিযোগে।
স্যান ফ্রানসিস্কোর ফেডারেল আদালতে দায়ের করা মামলার তথ্য অনুসারে, নিজস্ব প্ল্যাটফর্মগুলোয় ম্যাচ এমন ‘মনস্তাত্ত্বিক পুরস্কারের লোভ দেখায়, যেটি ব্যবহারকারীদেরকে জুয়াড়ি হওয়ার দিকে ঠেলে দেয়’। আর এ কাজটি ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবেই’ করে থাকে কোম্পানিটি।
ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া ও নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে বাস করা এ মামলার ছয় বাদী আহ্বান জানিয়েছেন, এমন আচরণ ম্যাচের বিজ্ঞাপনী শ্লোগানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, যেখানে উল্লেখ রয়েছে, কোম্পানির অ্যাপগুলো ‘মুছে ফেলার মতো করেই নকশা করা’।
তবে বাদীপক্ষের দাবি নাকচ করে দিয়ে ম্যাচ বলেছে, “মামলাটি হাস্যকর ও এর কোনও ভিত্তি নেই।”
“আমাদের ব্যবসায়িক মডেলটি বিজ্ঞাপন বা সম্পৃক্ততার মাপদণ্ডের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়নি। ব্যবহারকারীরা যেন সহজেই আমাদের বিভিন্ন অ্যাপ থেকে দৈনিকই সঙ্গী খুঁজে পান, সে বিষয়ে আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছি,” বিভিন্ন ফিচার কাজ না করার বিষয়ে কোম্পানির জরুরী পদক্ষেপ নিয়ে ৩১ জানুয়ারি বিশ্লেষকদের বলেন ম্যাচ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী বার্নার্ড কিম।
“যারা এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তারা নিজেরাই জানেন না আমাদের সমগ্র খাতের উদ্দেশ্য বা মিশন কী।”
এদিকে, ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করার লক্ষ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে টিন্ডার ও হিঞ্জের মতো অ্যাপগুলো।