এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো মেটা মালিকানাধীন প্রথম প্ল্যাটফর্ম না হলেও ফেইসবুকই কোম্পানির বিজ্ঞাপনী আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস।
Published : 02 Feb 2023, 04:56 PM
প্রায় দুই দশক পরও বাড়ছে ফেইসবুকের ব্যবহারকারী সংখ্যা। আর এখন দুইশ কোটি দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর মাইলফলক স্পর্শ করেছে মেটা মালিকানাধীন সামাজিক প্ল্যাটফর্মটি।
খবরটি উঠে এসেছে মেটার চতুর্থ প্রান্তিকের হিসাবে। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গেল প্রান্তিকে প্রথমবারের মতো এক কোটি ৬০ লাখ ব্যবহারকারী যোগ করে দুইশ কোটি দৈনিক ব্যবহারকারীতে পৌঁছেছে সামাজিক প্ল্যাটফর্মটি।
সম্প্রতি দুইশ কোটি দৈনিক ব্যবহারকারীর লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে মেটা মালিকানাধীন আরেক সামাজিক প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। দেখা যাচ্ছে এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো প্রথম মেটা মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম নয়। তবে, ফেইসবুকই কোম্পানির বিজ্ঞাপনী আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস। এরইমধ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় নিজস্ব ব্যবসায় ব্যপক ছাঁটাই কার্যক্রম চালিয়েছে কোম্পানিটি।
“২০২৩ সালে আমাদের পরিচালনা ব্যবস্থার মূল থিম হবে ‘দক্ষতার বছর’।” --কোম্পানির সাম্প্রতিক পুনর্গঠনের বিষয়টি ইঙ্গিত দিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন মেটা সিইও মার্ক জাকারবার্গ।
এর আগে কোম্পানিটি নিজেদের ১১ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে।
“জেনারেটিভ এআই অত্যন্ত চমকপ্রদ এক নতুন জায়গা, যেখানে বেশ কয়েক ধরনের অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে।” --বলেন জাকারবার্গ।
“আর মেটার জন্য আমার বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রার একটি হলো জেনারেটিভ এআই খাতে নেতৃত্ব দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের গবেষণাকে গড়ে তোলা।”
মেটাভার্সে বিনিয়োগের পেছনে এরইমধ্যে বিশাল পরিমাণ অর্থ খুইয়েছে মেটা। মেটা বলছে, ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে চারশ ৩০ কোটি ডলার ও গোটা বছরে প্রায় এক হাজার চারশ কোটি ডলার হারিয়েছে কোম্পানির ভিআর, এআর ও বিভিন্ন মেটাভার্স প্রকল্প তদারকীর দায়িত্বে থাকা ‘রিয়ালিটি ল্যাবস’।
সামনের বছর রিয়ালিটি ল্যাবসের পেছনে আরও বেশি আর্থিক ক্ষতির ভবিষ্যদ্বাণীও করেছে মেটা নিজেই।
“আমাদের অনুমান বলছে, ২০২৩ সালেও রিয়ালিটি ল্যাবসের পেছনে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।” --বলেন মেটার প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সুজান লি।
“আর নিজেদের লক্ষ্যমাত্রার দীর্ঘমেয়াদী ফলাফলের বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা অর্থপূর্ণ উপায়ে এই খাতে বিনিয়োগ চালিয়ে যাবো।”
গত বছরে রিয়ালিটি ল্যাবস-এ আর্থিক ক্ষতি মেটার সামগ্রিক আয়ের গতি কমানোর পেছনে ভূমিকা রাখলেও জাকারবার্গের দাবি, গত বছরের তুলনায় এবার তার কোম্পানির ‘পরিস্থিতি দ্রুতই বদলে যাওয়ার’ দ্বারপ্রান্তে।
“আমরা সবকিছু থেকেই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি না।” --বলেন তিনি।
“এমন কিছু সংখ্যক জায়গা আছে আছে, যেগুলো খুব দ্রুত বাড়তে পারে বা এমন কোনো ধরনের ভবিষ্যত বিনিয়োগ, যা আমরা করতে আগ্রহী।”