বিনিয়োগকারীর সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানি কী উপায়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্য।
Published : 05 Aug 2023, 03:33 PM
বিনিয়োগকারীর সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানি কী উপায়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের নিয়ন্ত্রকরা। পাশাপাশি, এই প্রযুক্তির সম্ভাব্য অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার ম্যাসাচুসেটসের পুঁজিবাজার বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা ও সেক্রেটারি অফ স্টেট বিল গ্যালভিন বলেন, তার দপ্তর থেকে বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে তাদের ব্যবসায় এআই ব্যবহার ও বিকাশ সম্পর্কে জানেতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শীর্ষ বিনিয়োগ কোম্পানি ‘জেপি মর্গান চেস’ ও ‘মর্গান স্ট্যানলি’।
মার্কিন ডেমোক্র্যাট পার্টির পুরোনো নেতা ও সুপরিচিত পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক গ্যালভিনের এক মুখপাত্র বলেন, চিঠি পাওয়া অন্যান্য কোম্পানি হল ‘ট্রেডিয়ার ব্রোকারেজ’, ‘ইউএস টাইগার সিকিউরিটিস’, ‘ই*ট্রেড’, ‘স্যাভি অ্যাডভাইজর্স’ ও ‘হিয়ারসে সিস্টেমস’।
“এআই’র বিভিন্ন সমস্যা সঠিকভাবে না জানিয়ে ও এর সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে ব্যবহার করলে এই প্রযুক্তি বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি করতে পারে, সে ভয় আমার আছে।” --এক বিবৃতিতে বলেন গ্যালভিন।
এই বিষয়ে রয়টার্সকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি কোম্পানিগুলোর মুখপাত্ররা।
মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন’ বিভিন্ন ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাব্য সমস্যাগুলো নিরসনে নতুন প্রস্তাবনা দেওয়ার সপ্তাহখানেক পরই এই তদন্ত শুরু হল।
এসইসি’র ওই প্রস্তাবনা এখন জনমতের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
গ্যালভিনের দপ্তর বলেছে, বিনিয়োগকারী গ্রাহকদের চেয়ে কোম্পানির স্বার্থ এগিয়ে রাখবে না, সেটি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কোম্পানি এআই প্রযুক্তির তত্ত্বাবধানে কী ধরনের পদ্ধতি অবলম্বণ করছে, সেটা নিয়ে মনযোগ দিচ্ছেন তিনি।
এরইমধ্যে এআই ব্যবস্থা প্রবর্তন নিয়ে তথ্য জানাতে কোম্পানিগুলো কী পদক্ষেপ নিয়েছে ও এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা কী ধরনের পরীক্ষা করছে, সেগুলো মূল্যায়ন করাও গ্যালভিনের পুঁজিবাজার বিভাগের পরিকল্পনায় আছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।