“লোকটির পরিচয়ই জানতে পারিনি। পরিচয় পেলে একটি ক্লু পাওয়া যেত”, বলেন পুলিশ কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম।
Published : 20 Apr 2025, 08:53 PM
রাজধানীর উত্তরায় জোর করে এক ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা দুই দিনেও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।
যাকে তুলে নেওয়া হয়েছে তার পরিচয় এখনও জানা যায়নি, আবার প্রাইভেট কার চিহ্নিত করা কিংবা যারা ‘অপহরণ’ করেছে তাদের পরিচয়ও মেলেনি।
পুলিশ বলছে, তারা ঘটনার রহস্য বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরার বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশের সড়ক থেকে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ওই রাতে ফেইসবুকে পোস্ট করেন নোমান আহমেদ নাফিজ নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভর্তিচ্ছু। পরে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, সড়ক দিয়ে হেঁটে যাওয়া মাস্ক পরা এক ব্যক্তিকে জবরদস্তি করে প্রাইভেট কারে তোলেন তিন ব্যক্তি। তখন আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাদের ওপরও চড়াও হন ওই ব্যক্তিরা। এরপর গাড়িটি বিমানবন্দরের দিকে দ্রুত সটকে পড়ে।
এই ঘটনার ভিডিও পাওয়ার পর পুলিশের মধ্যে বেশ তোড়জোড় দেখা যায়।
উত্তরা বিভাগের উপ কমিশনার মহিদুল ইসলাম শনিবার বলেছিলেন, তারা ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
একদিন পর রোববার বিকালে যোগাযোগ করা হয় মহিদুল ইসলামের সঙ্গে। জবাবে তিনি অগ্রগতির কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তবে চেষ্টার কোনো ত্রুটি হচ্ছে না বলে দাবি করেন।
“লোকটিকে তুলে নেওয়া হল। শুক্রবার থেকে রোববার- দুই দিন গত হয়ে গেল, কিন্তু এখনও তার স্বজন বা পরিচিত কেউ আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। আমরা ওই লোকটির পরিচয়ই জানতে পারিনি। পরিচয় পেলে একটি ক্লু পাওয়া যেত।”
উত্তরায় প্রকাশ্যে গাড়িতে তুলে নেওয়ার ভিডিও ফেইসবুকে, দিশা ‘পাচ্ছে না’ পুলিশ
এরপরেও পুলিশ বসে নেই দাবি করে এ কর্মকর্তা বলেন, যারা তুলে নিয়ে গেছে, তাদের ছবি এরই মধ্যে পুলিশের বিভিন্ন মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে, প্রকাশ করা হয়েছে। তুলে নেওয়া ব্যক্তিদের কারো মুখে মাস্ক ছিল না। ফলে তাদের চিহ্নিত করা তুলনামূলক সহজ। সেই কাজটিই আমরা করছি।”
তুলে নেওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় জানা গেলে কাজের অনেক অগ্রগতি হবে বলে মনে করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে গোয়েন্দারাও কাজ করছে বলে জানান তিনি।
সাদা রঙের প্রাইভেট কারটি চিহ্নিত করার চেষ্টাও চলছে জানিয়ে উপ কমিশনার মহিদুল বলেন, “আমরা ঢাকামুখী অনেক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। গাড়ির নাম্বার স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। যেটুকু পাওয়া গেছে, তার আশপাশ ধরে অন্তত ৫০টির গাড়ির ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়েছি। মহাখালী, মোহাম্মদপুরে অভিযান চালানো হয়েছে, কিন্তু মিলছে না।”
কাছাকাছি নাম্বারগুলোর ব্যাপারে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সঙ্গে পুলিশ কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে গাড়ির নাম্বার প্লেটটিই ভূয়া।”
নোমান আহমেদ নাফিজ রোববার বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পর থানায় তাকে ডেকে নেওয়া হয়। গাড়ির নাম্বার প্লেটের ছবিও দেওয়া হয়। পাশাপাশি নতুন করে ঘটনার ভিডিও দেওয়া হয়েছে।
“পরে তারা রোববার সকালে ফোন করে জানায়, গাড়ির নাম্বার প্লেটটি ভুয়া।”