৪১৭ ফিট দীর্ঘ এ মেগাইয়াটটির ব্যবস্থাপনায় থাকতে হয় প্রায় ৪০ জনকে। সম্প্রতি বেজোস ও তার বান্ধবী লরেন সানচেজকে এ ইয়াটে অবসর কাটাতে দেখা গেছে।
Published : 01 Jan 2024, 05:00 PM
মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের ‘মেগাইয়াট’ দেখতে ‘এতই সুন্দর’ যে সে এলাকার লোকজনকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অনুরোধ করেছে, বেজোস এতে অবস্থানকালে সবাই যেন তাকে কিছুটা প্রাইভেসি দেন।
‘করু’ নামের এ ইয়াটটির অবস্থান ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ অ্যান্টিগা ও বারবুডায়। ৪১৭ ফিট দীর্ঘ এ মেগাইয়াটটির ব্যবস্থাপনায় থাকতে হয় প্রায় ৪০ জনকে। সম্প্রতি বেজোস ও তার বান্ধবী লরেন সানচেজকে এ ইয়াটে ছুটি কাটাতে দেখা গেছে বলে মঙ্গলবার উঠে আসে বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সক্রিয় ইয়াটটি অ্যান্টিগা দ্বীপের জনগণের নজরে এসেছে, এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে একটি নোটিশ জারি করেছেন অ্যান্টিগা ও বার্বুডা’র পর্যটন মন্ত্রী চার্লস ফার্নান্দেজ।
“করু’র আবেদন অনস্বীকার্য। তবে, এ বিশেষ মূহুর্তে আমরা সবাইকে তাদের প্রাইভেসির প্রতি শ্রদ্ধা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।” --ফার্নান্দেজের উদ্ধৃতি হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে স্থানীয় সংবাদপত্র অ্যান্টিগা অবসার্ভার।
সংবাদ সাইট ইনসাইডার বলছে, বেজোস নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করেন।
২০২১ সালের অক্টোবরে দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাওয়াই’র মাউই দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলে সাত কোটি ৮০ লাখ ডলারে একটি বাড়ি কিনেছিলেন বেজোস। আর ওই ১৪ একর জমির চারপাশ ঘিরে আছে বেশ কয়েক একর সুপ্ত লাভার মাঠ।
“জেফ ও লরেন মাউই ভালবাসেন। এখানে তাদের বাড়িও আছে। তারা প্রায়শই ওই বাড়িতে আসেন। আর স্থানীয় কমিউনিটিকে সহায়তা করার বিষয়েও তাদের আগ্রহ আছে।” --সংবাদ সাইট প্যাসিফিক বিজনেস নিউজকে বলেছেন এই যুগলের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র।
এর আগে সাড়ে ১৬ কোটি ডলারে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বাড়ি কিনে রেকর্ড ভেঙেছিলেন বেজোস। ১৯৩৭ সালে বেভারলি হিলসে বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন বিনোদন জায়ান্ট ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ওয়ার্নার, যেখানে প্রাইভেসি দিতে সকল বাড়িকেই রাস্তা থেকে আড়ালে রাখার ব্যবস্থা করে দেয় এলাকার কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে, ওই বাড়ির উঠান তৈরির লক্ষ্যে এক কোটি ডলারে এর পাশের বাড়িও কিনে নেন বেজোস।
অ্যামাজন থেকে ব্লু অরিজিন, এতগুলো ব্যবসা সামলানোর পরও বেজোস নিজের প্রাইভেসি একটু বেশিই ভালবাসেন। এমনকি কোম্পানির কিছু কিছু প্রকল্প তিনি বেশ কয়েক বছর গোপন রেখেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ইনসাইডার বলছে, করু’র অন্দরমহলে কী চলে, তা হয়তো কখনোই জানা সম্ভব হবে না।