কয়েনবেইজের এক প্রান্তিকে ক্ষতি ১১০ কোটি ডলার

বছরের প্রথম প্রান্তিকের শেষে কয়েনবেইজে সেবাগ্রাহকদের ২৫ হাজার ছয়শ কোটি ডলারের সম্পদ ছিল। দ্বিতীয় প্রান্তিকের শেষে সেই সম্পদের আকার নেমে এসেছে নয় হাজার ছয়শ কোটি ডলারে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2022, 10:45 AM
Updated : 10 August 2022, 10:45 AM

বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ক্রিপ্টো এক্সেচেঞ্জ কয়েনবেইজের নেট ক্ষতির আকার দাঁড়িয়েছে ১০৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অথচ, আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ছিল ১৬০ কোটি ডলারের বেশি।

বছরটা ভালো যাচ্ছে না ক্রিপ্টো খাতের জন্য। বছরের শুরু থেকে বাজারের দুই বৃহত্তম ক্রিপ্টো মুদ্রা বিটকয়েন এবং ইথারের দাম কমেছে ৫০ শতাংশের বেশি। কেবল ক্রিপ্টো মালিক নয়, দুঃসময়ের প্রভাব পড়েছে ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জগুলোর ওপরেও।

বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের শুরুতে ১ এপ্রিলে ক্রিপ্টো বাজারে বিটকয়েনের দাম ছিল ৪৬ হাজার ডলার, আর ইথারের দাম ছিল তিন হাজার ৪৫০ ডলার। ৩০ জুন প্রান্তিক শেষ হওয়ার দিনে মুদ্রাগুলোর দাম ছিল যথাক্রমে ১৯ হাজার ৯০০ ডলার এবং এক হাজার সত্তর ডলার।

তবে কয়েনবেইজে কেবল বিটকয়েন আর ইথারের লেনদেন হয় না, ৫০টির বেশি ক্রিপ্টো মুদ্রা লেনদেনে সমর্থন দেয় কোম্পানিটি। শেয়ার বাজারেও উপস্থিতি আছে কোম্পানিটির। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে পাবলিক লিমিডেট কোম্পানি হিসেবে শেয়ার বাজারে যোগ দিয়েছিল কয়েনবেইজ।

গত বছরের সঙ্গে তুলনায় কয়েনবেইজের বর্তমান বাস্তবতা একেবারেই উল্টো পথে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট। গেল বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৬০ কোটি ডলার মুনাফা ছিল তাদের।

এর পরের দুই প্রান্তিকেও লাভের ঘরে ছিল কোম্পানিটি। দৃশ্যপট পাল্টেছে ২০২২ সালে এসে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৪৩ কোটি ডলার খুইয়েছিল কয়েনবেইজ।

সিনেট জানিয়েছে, প্রথম প্রান্তিকের শেষে কয়েনবেইজের প্লাটফর্মে ২৫ হাজার ছয়শ কোটি ডলারের সম্পদ ছিল এর সেবাগ্রাহকদের। দ্বিতীয় প্রান্তিকের শেষে সেই সম্পদের আকার নেমে এসেছে নয় হাজার ছয়শ কোটি ডলারে।

শেয়ারমালিকদের কাছে কয়েনবেইজের পাঠানো এক চিঠির বরাত দিয়ে সিনেট জানিয়েছে, এক্সচেঞ্জটির হাতে এখন ছয়শ বিশ কোটি ডলারের নগদ সম্পদ এবং ৪২ কোটি ৮০ লাখ ডলারের ক্রিপ্টো মুদ্রা আছে।

কয়েনবেইজ ক্ষতির কারণ হিসেবে দুষেছে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলা করতে মে মাসে সুদের হার বাড়ানো শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ। অন্যদিকে, ক্রিপ্টো মুদ্রা ‘অস্থিতিশীল সম্পদ’ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় দাম পড়া শুরু হয় এই সম্পদের।