ইপসো’র চেয়ারম্যান লর্ড ফক্স কেসি বলেছেন, এআই প্রযুক্তি গ্রহণের বিষয়টি প্রকাশকদের জন্য ‘যুক্তিসঙ্গত’ হলেও এতে জবাবদিহিতা থাকাও গুরুত্বপূর্ণ।
Published : 21 Aug 2024, 06:14 PM
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সামাজক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে অবশ্যই নিজস্ব কনটেন্টের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় থাকতে হবে, এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছে শীর্ষ এক নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
২০২৩ সালের নিজেদের বার্ষিক প্রতিবেদনে ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রেস স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন (ইপসো)’ বলেছে, এ খাতে যে ‘দ্রুত পরিবর্তন’ এসেছে এবং সম্পাদক ও সংবাদকর্মীর ভূমিকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির যে প্রভাব, এতে তারা সে বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করেছে।
ইপসো’র চেয়ারম্যান লর্ড ফক্স কেসি বলেছেন, এআই প্রযুক্তির সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশকদের জন্য ‘বাস্তবসম্মত’ হলেও এতে জবাবদিহিতা থাকাও গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ইপসো’র মূল মনযোগ হল, এ পরিবর্তনের পর কোন কোন বিষয় আগের মতোই থাকবে, যেমন- নিজেদের তৈরি কনটেন্টের জন্য প্রকাশকদের জবাবদিহিতা। কে বা কী লিখেছে, সেটা মূখ্য বিষয় নয়।”
“সুসম্পাদিত বিভিন্ন প্রকাশনায় এ নীতির বিস্তৃত স্বীকৃতি দেখে আমরা উচ্ছ্বসিত। বাস্তব বিশ্বে এর মানে দাঁড়ায়, কিছু সময়ের জন্য এক্ষেত্রে মানুষের নজরদারিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
“এই সম্ভাব্য বিপ্লবী উদ্ভাবনের বিপরীতে, সম্পাদকীয় দায়বদ্ধতা ও তত্ত্বাবধানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে কীভাবে সমন্বয় করা যায়, আগামী বছরজুড়ে আমরা সে বিষয়ে আলাপ চালিয়ে যাব।”
ইপসো’র অন্যান্য চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তির উত্থান এবং বিভিন্ন শীর্ষ ঘটনা যেমন ইসরায়েল গাজা সংঘাত ও ব্রিটিশ নারী নিকোলা বুলি গুম হওয়া সংশ্লিষ্ট সত্যিকারের খবর, ছবি ও ভিডিও যাচাইবিষয়ক সমস্যার সমাধান করা।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের আইনশৃঙ্খলা তদারকি করেছে ‘কলেজ অফ পুলিসিং’। এরাই ল্যাঙ্কাশায়ার পুলিশের অধীনে থাকা এ মামলাটির স্বাধীন পর্যালোচনা করেছে, যেখানে বুলি নিখোঁজ হওয়ার তিন সপ্তাহ পর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাকে ল্যাঙ্কাশায়ারের ‘সেন্ট মাইকেল’স অফ ওয়্যার’ গ্রামে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
আর এ ঘটনার গোপনীয়তা বজায় রাখতে ইপসো’র নোটিশ জারির বিষয়টিও প্রশংসিত হয়েছে এ পর্যালোচনায়। এর ফলে, বুলির পরিবারও শোক পালনের সুযোগ পেয়েছিল।
এ ছাড়া, গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন, কোনো বড় ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে কীভাবে অনুমান বা আতঙ্ক না ছড়িয়ে তথ্য দিতে হয়, সে বিষয়ে নির্দেশিকা প্রদান এবং সংবাদকর্মীদেরকে ‘দূর্নীতির ঝুঁকি’ হিসেবে বিবেচিত তালিকা থেকে সরানোর বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে আরও প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইপসো।