তবে হামলার বিষয়টি ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন।
Published : 21 Apr 2025, 09:45 PM
পাবনার ঈশ্বরদীতে দেয়ালে জুলাই-অগাস্টের গ্রাফিতি মুছে ফেলার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধনে হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে দিহান নামে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) বলেন, “মানববন্ধন চলাকালে কোনো ঝামেলা হয়নি। কিন্তু মানববন্ধন শেষে চলে যাওয়ার পথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সেটা কলেজের বাইরে।
“আমরা এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেব। আর নিজেদের পক্ষ থেকেও যদি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় তাহলেও নেব।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্প্রতি ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের দেয়ালে জুলাই-অগাস্ট গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়। সেখানে স্থানীয় বিএনপির নেতাদের নাম লেখা হয়। এর প্রতিবাদে দুপুরে মানববন্ধনের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
অপরদিকে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের কর্মী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন।
এ সময় দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দেয়। তাদের মাঝে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এক পর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। অধিকাংশ দৌড়ে পালিয়ে গেলেও কয়েকজন মারপিটের শিকার হয়।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঈশ্বরদী উপজেলার সমন্বয়ক দিহান বলেন, “দেয়ালে গ্রাফিতি অঙ্কন মুছে ফেলার প্রতিবাদে আমরা আজকে কর্মসূচি আয়োজন করেছিলাম। আমাদের প্রোগ্রামও শেষের দিকে। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আসেন। আমরা তাদের কাছে দাবি করেছিলাম, তারা যেন আগের গ্রাফিতি পুনরায় এঁকে দেয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমিসহ তিনজন আহত হয়েছি। ফ্যাসিবাদের সময় ছাত্রলীগ যেভাবে আমাদের ওপর হামলা করেছিল আজকে ছাত্রদল সেইভাবে হামলা করল।”
তবে হামলার বিষয়টি ‘মিথ্যা’ দাবি করে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন বলেন, “কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। তারা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করে আমাদের দোষ দিচ্ছে। এখানে পুলিশ, র্যাব, ডিবি উপস্থিত ছিল। আপনি তাদের কাছে থেকে শুনতে পারেন। কোনো হামলা হয়নি। ঈশ্বরদীতে তারা (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন) খুব বাড়াবাড়ি করছে।”
এ বিষয়ে পাবনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমি বিষয়টি এখনও জানি না, শুনিওনি। তবে অবশ্যই বিষয়টি সম্পর্ক খোঁজ-খবর নিয়ে প্রকৃত সত্যতা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”