খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে এমন কারও হাতে এসব তথ্য গেলে ঘটতে পারে বিপদ।
Published : 11 Nov 2024, 06:40 PM
নিজের পিসি বা ল্যাপটপে কী ধরনের তথ্য রয়েছে একবার ভেবে দেখুন। ব্যাংকের তথ্য, ব্যক্তিগত ছবি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্যসহ থাকতে পারে বিভিন্ন বিষয় যা অন্য মানুষের হাতে পড়ুক কেউ চাইবে না।
আর খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে এমন কারও হাতে এসব গেলে ঘটতে পারে বিপদ। তারা ব্ল্যাকমেইল করতে পারে, ব্যবহারকারীর ছদ্মবেশ নিয়ে ঠকাতে পারে তারই পরিচিত মানুষদের। এসব এড়াতেই তথ্য এনক্রিপট করে রাখার উচিত। এর ফলে ব্যবহারকারী ছাড়া পিসি বা ল্যাপটপের তথ্য হাতে পাওয়া সহজ হবে না।
উইন্ডোজ ১১ রয়েছে এমন পিসি বা ল্যাপটপে কীভাবে ডেটা এনক্রিপশন চালু করবেন সে বিষয়ে একটি নির্দেশনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট হাও-টু গিক। চলুন জেনে নেওয়া যাক এর বিস্তারিত।
বর্তমানে বেশিরভাগ উইন্ডোজ ১১ পিসিতে ডিফল্টভাবেই এনক্রিপশন চালু করা থাকে যা একটি বাড়তি সুবিধা। তবে, কারও কাছে পুরনো ডিভাইস থাকলে, বা কোনো কারণে এনস্ক্রিপশন চালু না থাকলে সেটি ম্যানুয়ালি করে নেওয়া ভালো।
এটি করতে প্রথমে, উইন্ডোজ ১১ ডিভাইসে ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটর’ হিসেবে লগইন করুন। স্টার্ট বাটনে রাইট ক্লিক করে ‘সেটিংস’ অপশনটি বেছে নিন। বাম পাশের মেনু থেকে ‘প্রাইভেসি অ্যান্ড সিকিউরিটি’ অপশনটি বেছে নিন। এরপর, ‘ডিভাইস এনক্রিপশন’ অপশনটি বেছে নিন। পরের স্ক্রিনে ‘ডিভাইস এনক্রিপশন’ টগলটি চালু করলেই কাজ শেষ।
জেনে রাখা ভাল, যে ডিভাইসগুলোতে ডিফল্ট আকারে উইন্ডোজ ১১ সেটআপ করা থাকে সেগুলোতে ডিভাইস এনক্রিপশন ফিচারের সাপোর্ট থাকে। তবে, নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যারের প্রয়োজনীয়তা পূরণ না হলে অনেক ক্ষেত্রে এ ফিচার কাজ নাও করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে, মাদারবোর্ডে ‘টিপিএম’ নামের একটি চিপ না থাকলে এনক্রিপশন কাজ করে না।
এর বিকল্প হল থার্ড-পার্টি অ্যাপ, যেমন বিটলকার, ব্যবহার করা। এসব অ্যাপ ব্যবহারবান্ধব না হলেও তথ্য কিছুটা সুরক্ষিত রাখতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে হাও-টু গিক। এ ছাড়া, অত্যন্ত জরুরী দরকার ছাড়া থার্ড-পার্টি অ্যাপ ব্যবহার না করাই ভাল।
পাশাপাশি, ডিভাইস চুরি যাওয়ার ভয় থাকলে, ডিভাইসের সব তথ্য, এক্সটার্নাল হার্ডড্রাইভ বা ক্লাউড স্টোরেজে ব্যাকআপ রাখাও একটি ভালো উপায়।