Published : 01 Aug 2022, 06:39 PM
হ্যাকিংশের শিকার হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতের নথি সংরক্ষণ ব্যবস্থা। ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে মার্চ মাসেই দেশটির ’জুডিশিয়ারি’ বিভাগকে জানিয়েছে ‘ডিপার্টমেনট অফ জাস্টিস (ডিওজে)’।
কিন্তু ডিওজে ওই ঘটনার নানা তথ্য জনগন ও কংগ্রেসের কাছ থেকে চেপে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতের নথি সংরক্ষণ ব্যবস্থায় হ্যাকিংয়ের খবর জানিয়েছে মার্কিন সাময়িকী পলিটিকো। প্রতিবেদনে ‘হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটি’ প্রধান জেরল্ড ন্যাডলারের উদ্ধৃতি দিয়েছে সাময়িকীটি।
রয়টার্স লিখেছে, নথি সংরক্ষণ ব্যবস্থার নিরাপত্তা ব্যর্থতার পেছনে ‘তিন দেশের হ্যাকারদের’ হাত ছিল। তবে, এই ঘটনায় কোন দেশগুলো জড়িত ছিল সে বিষয়ে বার্তাসংস্থাটিকে কোনো তথ্য দেননি ডিওজের সাইবার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
হ্যাকিংয়ের ঘটনার পর থেকে মার্কিন আদালতের সবচেয়ে স্পর্শকাতর নথিপত্র ইউএসবি ড্রাইভে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ক্ষেত্রবিশেষে কাগুজে মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।
২০২১ সালের প্রথম দিকেই স্পর্শকাতর নথিপত্রের বেলায় প্রযুক্তি নির্ভরতা কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের আদালত ব্যবস্থা। সে সময়ে ‘সোলারউইন্ড’ হামলার উল্লেখ করে স্পর্শকাতর নথিপত্র হাতে হাতে আদান প্রদানের নীতি বেছে নেয় ফেডারেল আদালত।
সোলারউইন্ড হামলায় কয়েক ডজন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর সরকারি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নথিপত্রে অনুপ্রবেশ করেছিল হ্যাকাররা। হামলার সূত্রপাত ২০২০ সালের প্রথম দিকে হলেও ন্যাডলার একটি পৃথক সাইবার হামলার কথা উল্লেখ করেছেন বলে উঠে এসেছে পলিটিকোর প্রতিবেদনে।
হ্যাকাররা আদালতের নথি সংরক্ষণ ব্যবস্থায় কীভাবে অনুপ্রবেশ করেছিল অথবা কোন কোন ফাইলে প্রবেশাধিকার পেয়েছিল সে তথ্য জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেনি মার্কিন কর্তৃপক্ষ। ডিওজে কর্মকর্তারা কবে নাগাদ হ্যাকিংয়ের বিষয়টি আবিষ্কার করেন, সেটিও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে ভার্জ।
এ প্রসঙ্গে ডিওজের অধীন ‘দ্য ন্যাশনাল সিকিউরিটি ডিভিশন’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর পায়নি সাইটটি।
তবে, ডেমোক্রেটিক দলের জনপ্রতিনিধি রন ওয়াইডেন বলছেন, ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস হ্যাকিং সংশ্লিষ্ট তথ্য জনসাধারণ এবং কংগ্রেসের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখছে।