Published : 02 May 2025, 05:43 PM
মার্কিন শুল্কনীতির প্রভাব স্মার্টফোন ও চিপসহ ইলেকট্রনিক পণ্যের চাহিদায় পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে স্যামসাং।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ—এই তিন মাসে রেকর্ড ৪ হাজার ১৬০ কোটি পাউন্ড রাজস্ব আয় হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রযুক্তিপণ্যের নির্মাতার। এই সময়ে কোম্পানিটির পরিচালন মুনাফা বেড়েছে দেড় শতাংশ।
তবে, রেকর্ড লাভের পরও স্মার্টফোন ও সেমিকন্ডাক্টর বিক্রি কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছে স্যামসাং। যদিও, এ দুই বাজারেই বিশ্বজুড়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে তারা।
কোম্পানিটির নির্বাহীরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের কারণে বছরের শেষ দিকে বৈশ্বিক চাহিদা কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তারা একে বর্ণনা করেছেন “চলমান অনিশ্চয়তা” হিসাবে।
স্যামসাং আরও বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের ওপর যে পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেছেন, তা সাময়িকভাবে স্থগিত থাকায় কিছু গ্রাহক আগেভাগে অর্ডার দিয়েছেন। ফলে বছরের দ্বিতীয়ার্ধে চাহিদা কমে যেতে পারে।
চীন ছাড়া বেশিরভাগ দেশে জুলাই পর্যন্ত যেসব শুল্কের প্রয়োগে দেরি হয়েছে, তা দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনামের মতো উৎপাদনভিত্তিক দেশগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্যামসাং। এই দেশগুলোতেই কোম্পানিটির স্মার্টফোন, ডিসপ্লে ও অন্যান্য পণ্য উৎপাদিত হয়।
চীনের বাজারেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চিপ বিক্রির ক্ষেত্রে স্যামসাংয়ের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়ছে বলে এক প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন কিছু ইলেকট্রনিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর পণ্যে শুল্ক ছাড় দিয়েছিল। তবে ওই সিদ্ধান্তকে অস্থায়ী বলে বর্ণনার পাশাপাশি শিগগিরই আবারও শুল্ক আরোপ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ট্রাম্প।
চলতি প্রান্তিকের জন্য আয় সংক্রান্ত কোনো পূর্বাভাস দেয়নি স্যামসাং। তারা বলছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও বাণিজ্য উত্তেজনা তাদের জন্য ভবিষ্যৎ কর্মক্ষমতার পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন করে তুলেছে।
এ পরিবর্তিত বাণিজ্য পরিবেশ ও তাদের সরবরাহ চেইনের মূল দেশগুলোর ওপর বাণিজ্য নিয়ে এই দ্বৈরথে অ্যাপলসহ অন্যান্য প্রযুক্তি কোম্পানিও তাদের সাপ্লাই চেইন নিয়ে চাপের মধ্যে রয়েছে, বিশেষ করে চীনে, যেটি ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতির প্রধান লক্ষ্যবস্তু।