দলটিকে নেটো সদস্যভুক্ত দেশগুলোর ওপর গুপ্তচরবৃত্তি ও সাইবার আক্রমণ চালানোর কাজ দিয়েছিল রাশিয়ার বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।
Published : 02 Oct 2024, 04:36 PM
রাষ্ট্রীয় মদদে নেটো সদস্যভুক্ত দেশগুলোর ওপর সাইবার আক্রমণ চালানোর দায়ে রাশিয়ার সাইবার অপরাধী দল ‘ইভিল কোর’-এর ১৬ সদস্যকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর যুক্তরাজ্যের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)’ বলেছে, ইভিল কোর এক সময় সাইবার অপরাধের জগতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
“এ নিষেধাজ্ঞা ক্রেমলিনের কাছে স্পষ্ট বার্তা পাঠাবে যে, আমরা রাশিয়ার তরফ থেকে কোনো সাইবার আক্রমণ সহ্য করব না, সেটি খোদ রাষ্ট্র বা তাদের সাইবার অপরাধীদের ইকোসিস্টেম, যেখান থেকেই হোক না কেন,” এক বিবৃতিতে বলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডেভিড ল্যামি।
ল্যাম্বরগিনি চালানো মাকসিম ইয়াকুবেটসকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর ইভিল কোরের এই নেতার গ্রেপ্তারে সহায়ক হতে পারে, এমন তথ্যের বিনিময়ে ৫০ লাখ ডলারের পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল দেশটি।
নিজেদের সাম্প্রতিক ঘোষণায় এনসিএ বলেছে, দলটিকে নেটো সদস্যভুক্ত দেশগুলোর ওপর গুপ্তচরবৃত্তি ও সাইবার আক্রমণ চালানোর কাজ দিয়েছিল রাশিয়ার বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। তবে, তারা এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি।
সংস্থাটির দাবি, ইয়াকুবেটস এর আগে রাশিয়ার ‘ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)’, ‘ফরেইন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এসভিআর)’ ও সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ ‘জিআরইউ’র সঙ্গে কাজ করেছেন।
এনসিএ বলেছে, ইয়াকুবেটস-এর শ্বশুর এডুয়ার্ড বেন্ডারস্কি এফএসবি’র একজন সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, যিনি নিজেও ইভিল কোরের বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এমনকি ২০১৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের পর অপরাধী দলটিকে সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সাহায্য করেছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংস্থাটি আরও যোগ করে, র্যানসমওয়্যার দল লকবিটের সঙ্গে ইভিল কোরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, যারা এর আগে ব্যাংকিং কোম্পানি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ চায়না’, বোয়িং ও যুক্তরাজ্যের ‘রয়্যাল মেইল’সহ বেশ কিছু কোম্পানিকে শিকার বানিয়েছিল। তবে, এ বছরের শুরুতে তাদের ওপর যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছিল পশ্চিমা বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা সংস্থা।
ওই অভিযানে ইয়াকুবেটসের ‘ডান-হাত’ হিসেবে পরিচিত আলেক্সান্ডর রাইজেনকভকে লকবিটের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যেখানে তিনি অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে র্যানসমওয়্যার আক্রমণে জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছে এনসিএ।