সূর্য প্রায় ১১ বছর দীর্ঘ চক্রের মধ্য দিয়ে যায়, যখন এর গতিবিধি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি এর থেকে আলোচ্ছটা বিচ্ছিন্ন হয়ে মহাকাশে আছড়ে পড়ে।
Published : 05 Oct 2024, 04:49 PM
সূর্য থেকে বিক্ষিপ্ত শক্তিশালী এক সৌরচ্ছটা পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে, এমনই দাবি করেছে নাসা।
সাম্প্রতিক দিনগুলোয় সৌর ক্রিয়াকলাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রভাব দেখা গেছে মহাকাশের আবহাওয়াতেও। এর পরপরই এই অগ্নিশিখা ধেয়ে আসার খবরটি এল।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার’-এর তথ্য অনুসারে, এর একদিন আগেই সূর্য থেকে কিছুটা কম শক্তিশালী সৌরচ্ছটা নির্গত হয়েছিল। সাম্প্রতিক ওই ঘটনায় এরইমধ্যে রেডিও ব্ল্যাকআউটের পাশাপাশি অন্যান্য দুর্যোগও দেখা গেছে।
এর আগের বিভিন্ন সৌরচ্ছটার মতোই নতুন এ ঘটনা পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। পাশাপাশি, এর ফলে পৃথিবীর নিম্ন অক্ষাংশে নর্দার্ন লাইটসের মতো অরোরার দেখাও মিলতে পারে।
সূর্য প্রায় ১১ বছর দীর্ঘ চক্রের মধ্য দিয়ে যায়, যখন এর গতিবিধি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি এর থেকে আলোচ্ছটা বিচ্ছিন্ন হয়ে আছড়ে পড়ে। এই মুহুর্তে, ওই চক্র নিজের সর্বোচ্চ মাত্রার কাছাকাছি পর্যায়ে, যার বাস্তবিক রূপ দেখা যেতে পারে সামনের বছর। এতে করে এ ধরনের সৌরচ্ছটা আছড়ে পড়ার গতিবিধি বেড়ে যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
নতুন করে নির্গত সৌরচ্ছটাকে শ্রেণিন্যাস করা হয়েছে ‘এক্স ৯.০’ হিসেবে। এর মধ্যে সবচেয়ে তীব্র সৌরচ্ছটাগুলো এক্স শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত, যেখানে এদের শক্তির তীব্রতাকে নির্দেশ করে ‘৯.০’।
এ সংখ্যার বিষয়টি বিবেচনায় নিলে, এটি সম্ভবত এই সৌরচক্র থেকে নির্গত রেকর্ড ক্ষমতার সৌরচ্ছটা।
সৌরচ্ছটা বা ‘সোলার ফ্লেয়ার’ বলতে বিভিন্ন এমন তীব্র শক্তির বিস্ফোরণকে বোঝায়, যেগুলো সূর্য থেকে ছিটকে আসে। আর এগুলো যখন পৃথিবীতে পৌঁছায়, তখন রেডিও যোগাযোগ, পাওয়ার গ্রিড, ন্যাভিগেশন, স্যাটেলাইট এমনকি মহাকাশে থাকা নভোচারীদের কাজেও এটি ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
এ বছরের মে মাসে পৃথিবীর ওপর বেশ কিছু সৌরঝড় আঘাত হেনেছিল, যা ছিল গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়। আর এতে করে পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ উভয় গোলার্ধেই অরোরার মতো ঘটনা দেখা গেছে।