ওপেনএআই আগে থেকেই একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োগ করেছে এবং এতে রাজনীতিবিদসহ প্রকৃত মানুষের ছবি তৈরির ফিচার বন্ধ রেখেছিল তারা।
Published : 11 Nov 2024, 05:08 PM
মার্কিন নির্বাচনের মৌসুমে অনেক মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি চ্যাটজিপিটি’র ‘ডাল-ই’ ইমেইজ জেনারেটর ব্যবহারের চেষ্টা করেছিলেন। তবে, কোম্পানির দাবি, ডিপফেইক তৈরিতে এআই মডেলটির ব্যবহার ঠেকানো গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্প, পরাজিত প্রার্থী কমলা হ্যারিস, ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জেডি ভ্যান্স ও গভর্নর টিম ওয়ালজের ছবি তৈরির জন্য আড়াইলাখের বেশি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বলে কোম্পানির নতুন এক প্রতিবেদনে বলেছে এআই মডেলটির মালিক কোম্পানি ওপেনএআই।
ওপেনএআই আগে থেকেই একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োগ করেছে এবং এতে রাজনীতিবিদসহ প্রকৃত মানুষের ছবি তৈরির ফিচার বন্ধ রেখেছিল তারা।
ওপেনএআই বছরের শুরু থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট। এরই ধারাবাহিকতায়, তারা এআই টুলগুলোকে ভুল তথ্য ছড়ানোয় বাধা দিতে নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
পাশাপাশি, চ্যাটজিপিটিকে মার্কিন নির্বাচন সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞেস করা হলে সেটি ব্যবহারকারীদের ‘ক্যানআইভোট ডটঅর্গ’ ওয়েবসাইটে পাঠিয়েছে। কোম্পানির তথ্য অনুসারে, নির্বাচনের আগের এক মাসে অন্তত ১০ লাখ ব্যবহারকারীকে এ ওয়েবসাইটে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচনের দিন ও এর পরের দিনও ২০ লাখ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে চ্যাটবটটি। যারা নির্বাচনের ফলাফলের জন্য জিজ্ঞাসা করেছে তাদেরকে চ্যাটজিপিটি রয়টার্স, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যম থেকে তথ্য জানতে বলেছে। এ ছাড়া, ওপেনএআই নিশ্চিত করেছে তাদের এ চ্যাটবট নিজের রাজনৈতিক পছন্দ প্রকাশ করবে না, এমনকি স্পষ্টভাবে জিজ্ঞাসা করা হলেও কোনো প্রার্থীর নাম সুপারিশ করেনি।
তবে, ডাল-ই একমাত্র এআই ইমেইজ জেনারেটর নয়। আর নির্বাচনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক ডিপফেইক ছড়িয়ে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট। এরকমই এক ডিপফেইক ভিডিওতে কমলা হ্যারিসের নির্বাচনের প্রচারণা পরিবর্তন করা হয়েছে। ভিডিওতে হ্যারিসের কথা বদলে এমন কিছু কথা জুড়ে দেওয়া হয়েছে যা তিনি আসলে বলেননি।