মঙ্গলবার প্রধান এ পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে ১২০ পয়েন্ট। আগের দিন কমেও ছিল ১২০ পয়েন্ট।
এতে একদিন পরই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আবার ৭ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়।
এর আগের দিন এক মাস ২০ দিন পর এই মাইলফলকের নিচে নেমে গিয়েছিল প্রধান এ সূচক। গত সোমবার টানা দরপতনের ‘ভীতি’ থেকে সাড়ে ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন হয় ঢাকার পুঁজিবাজারে।
মঙ্গলবার দিনের শুরুটা হয়েছিল আগের দিনের ভীতি কাটিয়ে। প্রথম ঘন্টাতেই ডিএসই সূচক আগের দিন থেকে ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এই দরবৃদ্ধি অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পৌনে দুই ঘন্টার মাথায় সূচক আগের দিন থেকে ২৮ পয়েন্ট নিচে নেমে যায়।
এরপর শেয়ার কেনার পরিমাণ বাড়লে দিন শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিন থেকে ১২০ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়ে ৭ হাজার ৫ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
গত কয়েকদিন সূচকের টালমাটাল ওঠানামায় অস্থিরতা তৈরি হলে বেশির ভাগ শেয়ারের দাম নেমে গিয়েছিল অনেক নিচে। এটিকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে মঙ্গলবার দিনের প্রথমভাগ থেকে শেয়ার কেনার পরিমাণ বাড়লে বড় উত্থান ঘটে বাজারে।
শতাংশের হিসাবে এ উত্থান গত চার মাস তিন দিনের মধ্যে বেশি। এর আগে এর চেয়ে বেশি সূচক বেড়েছিল গত ৩০ জুন। সেদিন সূচক বেড়েছিল ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
এদিন বড় উত্থান হয়েছে অপর পুঁজিবাজার সিএসইতেও। এ বাজারের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৭৪ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০ হাজার ৪৪৪ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্টে।
মঙ্গলবার ডিএসইতে সূচক বাড়লেও আগের দিনের চেয়ে লেনদেন ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ বা ৮৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা কমে ১ হাজার ৩৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকায় নেমেছে। আগের কর্মদিবসে যা ছিল ১ হাজার ৪৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
এদিন ৮ শতাংশ কোম্পানির দাম কমার বিপরীতে ৯০ শতাংশের দাম বেড়েছে এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এ বাজারে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪০টির এবং কমেছে ২২টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির দর।
ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৬ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৮২ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে।
ডিএস৩০ সূচক ১৭ দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৬৬১ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে।
লেনদেনের শীর্ষ ১০টি কোম্পানি
বেক্সিমকো লিমিটেড, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবিসি ব্যাংক, অরিয়ন ফার্মা, ফরচুন সুজ, জেনেক্স ইনফোসিস, বিএটিবিসি, আইএফআইসি ব্যাংক, সোনালী পেপার ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।
দাম বাড়ার তালিকায় শীর্ষ ১০টি কোম্পানি
কেডিএস এক্সেসরিজ, একটিভ ফাইন, ডমিনেজ স্টিল, নুরানী ডাইং, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ইয়াকিন পলিমার, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, রিজেন্ট টেক্সটাইল, এএফসি এগ্রো ও অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন।
সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০টি কোম্পানি
গ্রামীণফোন, জিল বাংলা সুগার মিল, আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড, দি সিটি ব্যাংক, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, এনএলআই ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ট্রাস্ট ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড।
এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩০০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৪৫টির, কমেছে ৩৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির দর।
দেশের দ্বিতীয় এ বাজারেও সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে।
মঙ্গলবার এ বাজারে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৩১ দশমিক ১০ শতাংশ বা ১৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা কমেছে।
এদিন মোট ৪১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৬০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।