একদিন পরেই ফের চাঙ্গাভাবে ফিরেছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। মূল্যসূচকের পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে দুই বাজারে।
Published : 08 Jan 2019, 04:35 PM
বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর।
টানা ১১ দিন বাড়ার পর সোমবার সূচক কমেছিল বাজারে। মঙ্গলবার বড় উল্লম্ফন দিয়ে ফের তেজিভাবে ফিরেছে।
মঙ্গলবার প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৫ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট ৫ হাজার ৭৭০ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
শতাংশ হিসাবে এই সূচক বেড়েছে ২ দিশমিক ০৪ শতাংশ।
গত সাড়ে তিন বছরে ডিএসইর সূচক এতো বেশি বাড়েনি। সূচকের এই উত্থানে ডিএসইএক্স আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে।
এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ মে ডিএসইএক্স বেড়েছিল ১৩০ পয়েন্ট।
ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩০৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১ পয়েন্টে।
মঙ্গলবার ডিএসইতে এক হাজার ১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। সোমবার এই বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৯৬৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার।
বাজার বিশ্লেষণ করে ডিএসইর সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছেন, টানা কয়েকদিন বাড়ার পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়ায় বিক্রির চাপে সোমবার সূচক কিছুটা কমেছিল ।যেটাকে মূল্য সংশোধন বলা হয়ে থাকে।
“সবকিছু অনুকুলে থাকায় মঙ্গলবার বড় উল্লম্ফন হয়েছে বাজারে।”
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ বলেন, বাজার মন্দা থাকায় অনেক বিনিয়োগ চলে গিয়েছিল। ভোটের পর সব শঙ্কা কেটে যাওয়ায় একটা অনুকুল পরিবেশ বিরাজ করছে। নতুন সরকার বাজারের প্রতি আন্তরিক হবেন- এ আভাসও পাওয়া যাচ্ছে।
“এ পরিস্তিতিতে যে বিনিয়োগ চলে গিয়েছিল সেগুলো আসতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে নতুন বিনিয়োগ আসছে। আর এ কারণেই সূচক-লেনদেন বাড়ছে।”
জাতীয় নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকেই বাজারে অল্প অল্প সূচক বাড়তে শুরু করে।
ভোটের পর সূচক বাড়ছে বেশ গতিতে।
ভোটের আগে ১৭ ডিসেম্বর থেকে পুঁজিবাজারে সূচক বাড়তে শুরু করে। ভোটের পর সোমবার ছাড়া প্রতিদিনই বেড়েছে সূচক।
তবে মঙ্গলবারই একশ পয়েন্টের বেশি বেড়েছে। সবমিলিয়ে ভোটের পর ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৫০ পয়েন্টের বেশি বেড়েছে।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৪০২ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট। লেনদেনে হয়েছে ৭৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
সোমবার এই বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৪১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৪০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৮টির, কমেছে ৭২টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির দর।