লোকসানি সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের নবযাত্রার শুরুতেই কোস্পানিটি নতুন চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পেয়েছে।
Published : 08 Oct 2017, 12:01 PM
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ইউরোদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসানকে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এবং জাহিদুল আহাদকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া নোমান রশিদ চৌধুরীকে ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পুরো পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগপত্রের সঙ্গে নতুন তিন পরিচালক নিয়োগ অনুমোদন করা হয়।
এর মাধ্যমে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনায় প্রবেশ করে ইউরোদেশ গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউরোদেশ কনজ্যুমারস প্রোডাক্টস লিমিটেড।
ইজিএমের পর ইউরোদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে আরও দুজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি নিজেও নতুন পরিচালক হিসেবে সুহৃদে প্রবেশ করলেন। অন্য দুই নতুন পরিচালক হলেন- নোমান রশিদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ নুর উদ্দিন। এরা সবাই ইউরোদেশ গ্রুপ পরিচালনার সঙ্গে জড়িত।
কৃষি খাতের প্রতিষ্ঠান ইউরোদেশ লিমিটেড উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে পশুখাদ্য, হাঁস-মুরগির খাবার এবং মাছের খাবার।
আর ওষুষধ পণ্যের জন্য পিভিসি ফিল্ম এবং খাদ্য পণ্যের জন্য পিপি ফিল্ম তৈরি করে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ।
২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হওয়ার মাধ্যমে বাজার থেকে ১৪ কোটি টাকা তোলে এ কোম্পানি; বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৪ শতাংশ লভ্যাংশও দেয়।
কিন্তু এরপর থেকেই লোকসান গুণতে শুরু করে কোম্পানিটি। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে প্রকৃত লোকসানের পর ২০১৭ সালে তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই ২০১৬-মার্চ ২০১৭) পর্যন্ত ১০ টাকার প্রতিটি শেয়ারে ১১ পয়সা করে লোকসান করেছে। প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে সম্পমূল্য পরিমাণ ১১ টাকা ৮৯ পয়সা।
বৃহস্পতিবার ১৬ টাকা ২০ পয়সা দরে লেনদেন শেষ করা এ কোম্পানিটির বাজার মূলধন ৮০ কোটি টাকা। রিজার্ভ রয়েছে ১০ কোটি টাকার বেশি; দীর্ঘমেয়াদে চার কোটি ও স্বল্প মেয়াদে সোয়া কোটি টাকার ঋণ রয়েছে।
চলমান লোকসানের মধ্যেই সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোক্তা পরিচালকরা তাদের হাতে থাকার শেয়ার বেচতে
চলমান লোকসানের মধ্যেই সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোক্তা পরিচালকরা তাদের হাতে থাকার শেয়ার বেচতে শুরু করেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালে ৩০ জুন কোম্পানিটির উদ্যোক্তা/পরিচালকদের কাছে শেয়ার ছিল ৩২ দশমিক ৬২ শতাংশ। একবছরের মাথায় গত জুলাইতে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়ায় নয় দশমিক ৪০ শতাংশে।
লভ্যাং না দেওয়ায় জেড ক্যাটগরিতে নেমে যাওয়া এ কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে কোনও শেয়ার না থাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৯০ শতাংশের বেশি শেয়ার।
গত ৩০ অগাস্ট সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ডিএসইর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হয়, গ্যাস ও বিদ্যুত সংকটের কারণে ক্রমাগত লোকসানের মুখে থাকা কোম্পানিটি ইউরোদেশ গ্রুপের কাছে ব্যবস্থাপনা হস্তান্তরে খসড়া চুক্তি করেছে।
ইউরোদেশ গ্রুপের এমডি মাহমুদুল জানান, নতুন তিন পরিচালক ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে ছিলেন। তাদের কাছে কোম্পানিটির সাড়ে ছয় শতাংশ শেয়ারও রয়েছে।
পরিচালনা পর্ষদের পরিবর্তনের ফলে আগের পাঁচ পরিচালকের হাতে থাকা শেয়ার নতুন পরিচালকদের কাছে বিক্রি হবে না বাজারে বিক্রি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা তারাই নির্ধারণ করবেন।
সংকট কাটিয়ে কোম্পানিটি মুনাফায় ফিরবে বলে শতভাগ আশাবাদী মাহমুদ।