ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের উপর ভর করে দেশের পুঁজিবাজারে নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হওয়ার পর কয়েক দিন ধরে টানা দরপতন চলছে, যেটাকে স্বাভাবিক বলছেন বিশ্লেষকরা।
Published : 26 Sep 2017, 06:38 PM
দুই সপ্তাহে দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ২০০ পয়েন্ট বেড়েছিল; লেনদেনও বহুদিন পর দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। সেই লেনদেন কমে অর্ধেকের নিচে নেমেছে; সঙ্গে সূচকও প্রায় অর্ধেক কমেছে।
ডিএসইতে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়, মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৭১৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। ডিএসইএক্স প্রায় ১৩২ পয়েন্ট কমে ৬১০৪ দশমিক ২৭ পয়েন্টে নেমেছে।
এই দরপতনকে পুঁজিবাজারের সার্বিক প্রবৃদ্ধির জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পুঁজিবাজারে যে র্যালিটি হয়েছে সেটি ব্যাংকনির্ভর ছিল। বর্তমানে পুঁজিবাজারে যে পতন হয়েছে, সেটা ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমার কারণে হয়েছে।
“তবে এ ধরনের পতন ভাল। এর ফলে পুঁজিবাজারে গ্রোথ সঠিক হয়।”
শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হাসান বলেন, পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেনের সাম্প্রতিক উত্থানের আগে কিছু ‘ব্যাংকের শেয়ারের দাম ছিল কম, কিছু ছিল সঠিক দামে এবং কিছু ছিল বেশি দামে।’
“এখন ব্যাংকের যে শেয়ারগুলোর দাম যৌক্তিক সীমার বেশি বেড়েছিল সেগুলো মানুষ বিক্রি করে বের হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে সূচক ও লেনদেনে প্রভাব পড়েছে।”
বাজারের সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের এই কর্মকর্তার মতে, সেপ্টেম্বরে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ব্যাংকগুলো ভাল মুনাফা দেখাতে পারলে এই শেয়ারগুলোর দর আবার বাড়তে পারে।
“ব্যাংকের শেয়ারগুলোর দাম আরও বাড়বে না কমবে সেটা কিছুটা নির্ভর করে সামনে ব্যাংকগুলো ৯ মাসে কেমন মুনাফা দেখাবে তার উপর।”
তবে এই দরপতনের মধ্যেও মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে ৫০ কোটি টাকার মতো বেড়েছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে দু-একটি ছাড়া সবগুলোর শেয়ারের দর বেড়েছে।