বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ২০২০ সালের মধ্যে ‘নতুন দিগন্ত’ উন্মোচিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
Published : 22 Jan 2017, 12:55 PM
রোববার ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গত ২০ বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে হয়নি, এ রকম রেকর্ড খুব কম দেশের আছে।
“আমার বিশ্বাস, আমরা যেভাবে চলছি, আরও যদি কিছু পরিবর্তন আমরা করতে পারি, তাহলে এই দশকেই, মানে ২০২০ সালের মধ্যে আমাদের অনেকগুলো নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
“আমি বিশ্বাস করি, ২০২০ সালের মধ্যে আমাদের এখানে একটা শক্তিশালী পুঁজিবাজার সৃষ্টি হবে, যেখান থেকে আমরা বিভিন্ন বিনিয়োগে আগ্রহ নিতে পারব। মাত্র তিন বছর বাকি। এই তিন বছরের মধ্যেই হবে বলে আমরা বিশ্বাস।”
মাইডাস ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের মার্চেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের যাত্রা শুরু উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, আশির দশকে এনজিও হিসেবে কাজ শুরু করা মাইডাস এখন নিজের টাকায় চলছে।
“মাইডাস চলত বিদেশি সহযোগিতার টাকায়। এক সময় এ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা ঘোষণা দিয়েছিল- তারা নিজের টাকাতেই চলবেন।
“নিজের টাকায় চলার ঘোষণা অনেকেই দেয়। তবে সেটা বাস্তবায়ন করা বেশ কঠিন। মাইডাস সেটা পেরেছে,” বলেন মুহিত।
নতুন এ কোম্পানির চেয়ারম্যান রোকেয়া আফজাল রহমান; যিনি মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডেও একই দায়িত্ব পালন করছেন।
“এসএমই খাতে আমরা ভাল করেছি। নব্বইয়ের দশকে আমরা নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দিয়েছি। তখন নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়া হত না। এটা করে আমরা বেশ ভাল ফল পেয়েছি।”
নতুন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের অধিকাংশ সদস্য মূল প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদেও আছেন বলে জানান রোকেয়া।
তিনি বলেন, মাইডাস ইনভেস্টমেন্ট পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সঙ্গে লেনদেন করা কোম্পানিগুলোর অ্যাডভাইজারি ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা করবে।
আশির দশকে মাইডাস এসএমই ঋণ দেওয়া শুরু করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, তার আগে বাংলাদেশে এ ধরনের ঋণ দেওয়া হত না।
“আর এখন দোকানদার থেকে শিল্পপতি, সেলসম্যানের চাকরি করা নারী থেকে সফল উদ্যোক্তা-এ ধরনের বহু সফলতার গল্প মাইডাসের ঝুলিতে।”
মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিক-উল-আজম অনুষ্ঠানে বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে পুঁজিবাজারে মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডের ভূমিকা খুবই সীমিত। এ কারণেই নতুন প্রতিষ্ঠান খুলেছেন তারা।
“মাইডাস ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা যাতে সর্বশান্ত না হন- আমরা সেই কাজ করব, পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিগুলোর অর্থ সংগ্রহের জড়তা কাটাতে কাজ করব। শেয়ারের বিপরীতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ঋণ দেব।”
ভবিষ্যতে ব্রোকার ও অ্যাসেট ব্যবস্থাপনা কোম্পানি করারও ইচ্ছার কথা জানান মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
মাইডাস ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুর রহমানও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।