নতুন সপ্তাহ থেকে সিএসইতে লেনদেন ৩০ মিনিট আগে শুরু হবে, শেষ হবে ১৫ মিনিট দেরিতে।
Published : 22 Jan 2025, 11:01 PM
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) লেনদেনের সময় ৪৫ মিনিট বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
আগামী রোববার থেকে সেখানে লেনদেন শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে; চলবে বেলা পৌনে ৩টা পর্যন্ত। নতুন সময় নির্ধারণ করে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে বুধবার চিঠি দিয়েছে সিএসই।
দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও সিএসইতে বর্তমানে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন চলে। শেষ ১০ মিনিট হয় পোস্ট ক্লোজিং।
কিন্তু নতুন সপ্তাহ থেকে সিএসইতে লেনদেনের সময় ৩০ মিনিট আগে শুরু হবে। আর শেষ হবে ১৫ মিনিট পরে। শেষ ১০ মিনিট হবে পোস্ট ক্লোজিং।
সিএসইর সময় বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকারেজ হাউজগুলোর সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলছে, উভয় এক্সচেঞ্জে একই সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় হয়। একই সময়ে লেনদেন শুরু হওয়ায় বিনিয়োগকারী উভয় এক্সচেঞ্জ যাচাই-বাছাই করে প্রতিযোগিতামূলক দরে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন।
“ফলে কোনো একটি দেশে একই টাইম জোনে একাধিক স্টক এক্সচেঞ্জে পৃথক ট্রেডিং সময়সূচি থাকার বিষয়টি নজিরবিহীন ও চিন্তাবহির্ভূত।”
সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘আমরা বিনিয়োগকারীদের আরও একটু ফ্লেক্সিবিলিটি দিতে চাই। সময় বাড়ালে তো বিনিয়োগকারীরা বেশি লেনদেন করতে পারবেন। এজন্য সিএসই আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে নতুন সূচিতে লেনদেনে যাবে।”
ব্যাংক খোলার আগেই লেনদেন শুরু করায় কোনো সমস্যা হবে কিনা– এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘না, কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। ট্রেড সেটেলমেন্ট তো হবে লেনদেন শেষে। তখন ব্যাংকের প্রয়োজন হবে। এর আগে তো ব্যাংক লাগছে না।
“আমাদের ট্রেডিং আওয়ার তো বেলা পৌনে ৩টা পর্যন্ত। তখন তো ব্যাংক খোলা থাকবে।”
সাইফুর রহমান বলেন, বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবে টাকা না থাকলেও ব্যাংক খোলার সঙ্গে সঙ্গে ব্রোকারেজ হাউজ চেক জমা দিয়ে টাকা সমন্বয় করার সুযোগ থাকছে। এজন্য শেয়ার কেনাবেচায় কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।
স্টক এক্সচেঞ্জগুলো নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী নিজেদের মত করে লেনদেন সময় নির্ধারণ করতে পারে। এজন্য পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছ থেকে অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে না। তবে সময় নির্ধারণে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে বিএসইসিকে অবহিত করা এবং ডিএসইর বেলায় সিদ্ধান্ত জানানোর পরে সময় বদলানোর সুযোগ রয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘লেনদেন সূচি নির্ধারণ করার এখতিয়ার রয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জের। তবে সূচি কমিশনকে অবহিত করতে হবে স্টক এক্সচেঞ্জগুলোকে।”
চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ ট্রেডিং রেগুলেশনস, ১৯৯৮ এর ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, প্রতি কার্যদিবসে লেনদেন সূচি নির্ধারণে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে সিএসই কর্তৃপক্ষ। সেখানে লেনদেন সময়কে প্রি-ওপেনিং সেশন, ওপেনিং সেশন, কন্টিনিউয়াস ট্রেডিং সেশন ও ক্লোজিং সেশন নামে চার ভাগে বিভক্ত করা আছে।
একইভাবে লেনদেন সময়কে চার ভাগে রাখা হয়েছে ডিএসইর নীতিমালাতেও। ব্যাংক হলিডে ছাড়া প্রতি কার্যদিবসে লেনদেনের কথা বলা হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অটোমেটেড ট্রেডিং রেগুলেশনস, ১৯৯৯ এ।
নীতিমালার ৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ডিএসইর লেনদেন সময় হবে বেলা সাড়ে ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত। নীতিমালার ৪ নম্বর ধারায় লেনদেন সময়ের ব্যাপারে বলা হয়েছে, বিশেষ কারণে ডিএসই ব্যবস্থাপনা থেকে গঠিত বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে গঠিত কাউন্সিলের অনুমোদনক্রমে লেনদেন সময়ে পরিবর্তন আনা যাবে। তবে অবশ্যই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
বুধবার সিএসইতে ৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। আগের দিন ছিল ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার। আর ডিএসইতে হয় ৪১৩ কোটি টাকা, আগের দিন লেনদেন ছিল ৪৯৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা।