বাফুফে এলিট একাডেমির দায়িত্বে বাটলার

উয়েফা প্রো লাইসেন্সধারী এই ব্রিটিশ কোচকে এক বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

আপাতত এক বছরের চুক্তিতে বাফুফে এলিট একাডেমির কোচিং করাবেন পিটার জেমস বাটলার। ছবি: বাফুফে

পল স্মলি ২০২২ সালে চলে যাওয়ার পর বাফুফে এলিট ফুটবল একাডেমি চলছিল স্থানীয় কোচের অধীনে। উঠতিদের গড়ে তুলতে নতুন বছরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) দেশের বাইরে থেকে কোচ নিয়ে এসেছে। উয়েফা প্রো লাইসেন্সধারী পিটার জেমস বাটলারকে নিয়োগ দিয়েছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি। 

বাটলারের সঙ্গে বাফুফের চুক্তি আপাতত এক বছরের। ৫৭ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ কোচের কাজ ও সফলতার ওপর ভিত্তি করে মেয়াদ নবায়নের সুযোগ রেখেছে বাফুফে।

বাফুফের টেকনিক্যাল ও স্ট্রাটেজিক ডিরেক্টরের পদ ২০২২ সালে ছেড়ে দেন স্মলি। ওই দায়িত্বে থেকেই তিনি বয়সভিত্তিক দলগুলো থেকে শুরু করে এলিট একাডেমিও সামলাতেন। 

অভিজ্ঞতার দিক থেকে অবশ্য স্মলির চেয়ে এগিয়ে বাটলার। কখনও জাতীয় দলে খেলার সুযোগ না পেলেও ক্লাব ক্যারিয়ারে খেলেছেন লম্বা সময়। হাডার্সফিল্ড টাউন, ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড, ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিয়নের মতো দলে খেলেছেন তিনি। 

২০০০ সালে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন ক্লাব পর্যায়ে। এশিয়ান পর্যায়ে সিঙ্গাপুর আর্মড ফোর্সেস এফসি, মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানুর দায়িত্ব পালন করেছেন। সবশেষ তিনি ছিলেন লাইবেরিয়া জাতীয় দলের দায়িত্বে। বুধবারই ঢাকায় এসে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন তিনি। 

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে পথচলা শুরু হয়েছিল এলিট একাডেমির। উঠতি খেলোয়াড়দের থাকা, খাওয়া, অনুশীলন-সবকিছুই হয় কমলাপুরের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। 

গত বছর অগাস্টে এলিট একাডেমি শিরোনামে আসে খেলোয়াড়দের নিলামে তুলে। ক্লাবগুলোর প্রতিনিধি ও বাফুফে কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে হওয়া সেই নিলামে ছয় জন খেলোয়াড়কে দলে টেনেছিল প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো।