জার্মানদের কাছে নিজেকে প্রমাণের কিছু দেখেন না তেদেস্কো

কোচিং ক্যারিয়ারে নিজের অর্জনে সন্তুষ্ট বেলজিয়াম কোচ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2023, 10:06 AM
Updated : 28 March 2023, 10:06 AM

জার্মানিতে দুই দফায় দুটি ক্লাবের কোচ হিসেবে খুব খারাপ না করলেও শেষটা কোনো জায়গাতেই সুখকর হয়নি ডোমেনিকো তেদেস্কোর। বর্তমানে দায়িত্ব পেয়েছেন আরও বড়, বেলজিয়াম জাতীয় দলের। প্রতিপক্ষ এবার নিজের দেশ জার্মানিই। তবে আসছে লড়াইয়ে দেশের মানুষের কাছে নিজেকে নতুন করে চেনানোর প্রয়োজন দেখছেন না তিনি। নিজের কাজটা ঠিকঠাক করাটাই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে তার কাছে।

সবশেষ ২০২১-২২ মৌসুমে তেদেস্কোর হাত ধরে জার্মান কাপ জেতে লাইপজিগ। এরপরও খুব বেশি সময় ক্লাবে থাকতে পারেননি তিনি। গত সেপ্টেম্বরে ৩৭ বছর বয়সী এই কোচকে ছাঁটাই করে বুন্ডেসলিগার ক্লাবটি।

এর আগে ২০১৯ সালের মার্চে তেদেস্কোকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় আরেক জার্মান ক্লাব শালকে। আগের বছর তার কোচিংয়ে বুন্ডেসলিগায় রানার্সআপ হয়েছিল দলটি।

কাতার বিশ্বকাপে ভীষণ বাজে পারফর্ম করা বেলজিয়ামকে পথে ফেরানোর চ্যালেঞ্জ গত ফেব্রুয়ারিতে নেন তিনি। নতুন দায়িত্বে শুরুটা দারুণ হয়েছে ইতালিতে জন্ম নেওয়া এবং জার্মানিতে বেড়ে ওঠা তেদেস্কোর। ইউরোর বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গত শুক্রবার সুইডেনকে ৩-০ গোলে হারায় বেলজিয়াম।

বাছাইয়ের প্রথম পরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার রাতে প্রীতি ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে মাঠে নামবে বেলজিয়াম। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তেদেস্কো বলেছেন, কোচিং ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত নিজের অর্জনে তিনি সন্তুষ্ট।

“আমি আমার কাজকে ভালোবাসি এবং এখন পর্যন্ত যা অর্জন করেছি তাতে আমি খুশি। আমি সবসময় জিততে চাই। তবে আমি মনে করি না জার্মানদের কাছে নিজেকে প্রমাণ করার কিছু আছে। আর কোচ তেমন গুরুত্বপূর্ণও নয়- খেলোয়াড়রাই পার্থক্য গড়ে দেয়।”

বেলজিয়াম ও জার্মানি, দুই দলের জন্যই কাতার বিশ্বকাপ ছিল একরাশ হতাশার। বিশ্ব সেরার মঞ্চে উভয় দলই বিদায় নেয় গ্রুপ পর্ব থেকে। সবশেষ ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৪তম স্থানে নেমে গেছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি, চারে আছে বেলজিয়াম।

র্যাঙ্কিংয়ে জার্মানি অনেক পিছিয়ে থাকলেও দল হিসেবে তারা অনেক শক্তিশালী বলে মনে করেন তেদেস্কো।

“এটা কিভাবে সম্ভব যে তারা (র্যাঙ্কিংয়ে) ১৪তম? কাতার বিশ্বকাপে তাদের অনেক সুযোগ ছিল, তারা শুধু যথেষ্ট গোল করতে পারেনি।”