নিজের ষষ্ঠ ও শেষ বিশ্বকাপ থেকে শূন্য হাতেই বিদায় নিলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি।
Published : 02 Aug 2023, 10:57 PM
আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন মার্তা। জ্যামাইকার বিপক্ষে ম্যাচের পরও চোখ ভিজে গেল তার। বিশ্বকাপ থেকে শেষ পর্যন্ত খালি হাতেই ফিরতে হলো ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তিকে। ব্রাজিলের জন্য একটা যুগেরও সমাপ্তি ঘটে গেল এতে। বিশ্ব মঞ্চে আর কখনোই দেখা যাবে না ব্রাজিলে ‘কুইন মার্তা’ নামে পরিচিত এই ফরোয়ার্ডকে।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডে চলমান উইমেন’স ফুটবল বিশ্বকাপে টিকে থাকতে বুধবার জ্যামাইকার বিপক্ষে জয় দরকার ছিল ব্রাজিলের। কিন্তু গোলশূন্য ড্র করে ১৯৯৫ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশটি। আর জ্যামাইকা ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পেয়ে প্রথমবারের মতো উঠে গেছে নকআউট পর্বে।
টুর্নামেন্টে এই ম্যাচেই প্রথম শুরুর একাদশে নামানো হয় মার্তাকে। আক্রমণভাগে বেশ কয়েকবার তাকে খুঁজে নেয় সতীর্থরা। কিন্তু আগের পাঁচ আসরের মতো জাদুকরী কিছু এবার করে দেখাতে পারেননি তিনি। তার সতীর্থরাও ভেদ করতে পারেনি জ্যামাইকার জমাট রক্ষণ। ৮১ মিনিটে তুলে নেওয়া হয় মার্তাকে।
ছেলে কিংবা মেয়েদের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ১৭ গোলের রেকর্ড মার্তার। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ভিন্ন ছয় আসরে গোল করার হাতছানি ছিল এবার তার সামনে। কিন্তু পারলেন না তিনি শেষটা রাঙাতে। মেয়েদের ফুটবলে ব্যক্তিগত সব পুরস্কার জিতলেও বিশ্বকাপ ট্রফি অধরাই রয়ে গেল তার।
মার্তার বয়স এখন ৩৭। পরের বিশ্বকাপে বয়স হয়ে যাবে ৪১। সেখানে যে আর তাকে দেখা যাবে না, জ্যামাইকা ম্যাচের পর নিশ্চিত করে দিলেন এই তারকা।
“এরকম মুহূর্তে কথা বলা কঠিন। মার্তার এখানেই শেষ, মার্তার জন্য আর বিশ্বকাপ নেই।”
মার্তা প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলেন ২০০৩ সালের আসরে। তখনকার ১৭ বছর বয়সী ফুটবলার অভিষেক আসরে করেন ৩ গোল। ব্রাজিল খেলে কোয়ার্টার-ফাইনালে।
চার বছর পরের আসরে মার্তা করেন ৭ গোল, জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। সেবারই বিশ্বকাপ জয়ের সবচেয়ে কাছে যান তিনি এবং ব্রাজিল। তবে ফাইনালে জার্মানির কাছে ২-০ গোলে হেরে স্বপ্ন ভাঙে তাদের।
ব্রাজিলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১১৭ গোল করার রেকর্ড মার্তার। তিনবার জেতেন মেয়েদের কোপা আমেরিকা। অলিম্পিক ফুটবলে রূপা জেতেন দুইবার।
বিশ্বকাপকে বিদায় বললেও ফুটবল থেকে এখনই অবসর নিচ্ছেন না মার্তা। তবে সামনের পথচলায় জাতীয় দলে জায়গা পেতে যে কঠিন লড়াই করতে হবে তাকে, বলে রাখলেন কোচ পিয়া সুন্ধাগে।
“জাতীয় দলে ডাকার জন্য সে যথেষ্ট ভালো কি-না, দেখা যাক। যতদিন আমি জাতীয় দলের কোচিং করাব, নতুন খেলোয়াড় খুঁজে পেতে অনেক কাজ করব। এর মানে মার্তার জন্য আগামী দিনগুলিতে খেলা কঠিন হবে।”