আর্জেন্টিনার বিপক্ষেও নিজেদের হার না মানা মানসিকতা ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডার ইয়োসিপ ইউরানোভিচ।
Published : 13 Dec 2022, 02:54 PM
রাশিয়া বিশ্বকাপে রানার্সআপ হলেও এবারের আসরে ক্রোয়েশিয়াকে নিয়ে মাতামাতি সামান্যই। তবে কার্যকর ফুটবল খেলে তারা জায়গা করে নিয়েছে সেমি-ফাইনালে। এই পথচলায় বিদায় করে দিয়েছে শীর্ষ ফেভারিট হিসেবে বিবেচিত ব্রাজিলকে। ক্রোয়াটদের এমন সাফল্যের রহস্য কী? ইয়োসিপ ইউরানোভিচের মতে, হার না মানা মানসিকতাই তাদের মূল শক্তি।
এই ডিফেন্ডারের বিশ্বাস, আর্জেন্টিনার বিপক্ষেও ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে একইভাবে শেষ পর্যন্ত লড়বে তার দল।
২০১৮ সালের আগে বিশ্ব সেরার মঞ্চে ক্রোয়েশিয়ার সেরা সাফল্য ছিল ১৯৯৮ আসরে সেমি-ফাইনালে খেলা। সেবারের দলটিকে দেশটির ইতিহাসের সেরা দলের একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চার বছর আগে তাদের কীর্তি ছাড়িয়ে ফাইনালে খেলে নতুন ইতিহাস গড়ে লুকা মদ্রিচের দল। নকআউট পর্বে একের পর এক দারুণ লড়াই উপহার দিয়েছিল তারা। তবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আর পেরে ওঠেনি, ফ্রান্সের বিপক্ষে হেরে যায় ৪-২ গোলে।
আগের বিশ্বকাপে অমন পারফরম্যান্সের পরও কাতারে ক্রোয়েশিয়ার তেমন সম্ভাবনা দেখা হচ্ছিল না। বেলজিয়ামকে পেছনে ফেলে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নেয় তারা। এরপর টাইব্রেকারে হারায় জাপানকে। কোয়ার্টার-ফাইনালে তাদের বাধা ছিল রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।
ওই লড়াইয়ে অতিরিক্ত সময়ে গোল হজম করে বিদায়ের দুয়ারে চলে গিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপের মতো এবারও শেষ পর্যন্ত প্রাণপণ লড়ে যাওয়ার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সমতা টানে তারা। এরপর টাইব্রেকারে জয় পায় ৪-২ ব্যবধানে।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে যাওয়ার পথে ক্রোয়েশিয়ার বাধা লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির দলের বিপক্ষে শেষ চারের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ১টায়।
এই লড়াইকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলেনে ইউরানোভিচ বলেন, দেশের জন্য তারা হৃদয় দিয়ে খেলতে নামেন আর এটিই তাদের চালিকা শক্তি। তার বিশ্বাস, আর্জেন্টিনার বিপক্ষেও এর ব্যত্যয় হবে না।
“একটা ছোট্ট দেশ হলেও ক্রোয়েশিয়ার হৃদয়টা অনেক বড়। আমরা প্রথম মিনিট থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সবটুকু উজাড় করে দেব। আমরা হাল ছেড়ে দিতে জানি না। একে অন্যের জন্য খেলি। ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচে আমরা সেটাই দেখিয়েছি। জয়ের জন্য আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে সবকিছু করেছি এবং আমরা তা অর্জন করেছি।”
“এটিই বিশ্বকাপ। সবগুলো ম্যাচই কঠিন। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আমাদের পুলের আরেকটি দল মরক্কোকে, যারা সেমি-ফাইনালে খেলছে। এজন্যই প্রতিটি ম্যাচই আমাদের কাছে আরেকটি নতুন প্রতিযোগিতার মতো। আমরা আমাদের সবকিছু আবার ঢেলে দিতে চাই এবং দেশবাসীকে আবার খুশি করতে চাই।”