বিশ্বকাপে চমকে দেওয়া ৫ অঘটন

শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে এসে কোনো গোল না করেই ফ্রান্সের বিদায়, ক্যামেরুনের বিপক্ষে শক্তিশালী আর্জেন্টিনার পরাজয়- এমন অনেক অঘটনের সাক্ষী হয়েছে ফুটবল বিশ্বকাপ।

আবু হোসেন পরাগবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2022, 08:44 AM
Updated : 17 Nov 2022, 08:44 AM

ফুটবল বিশ্বকাপ, ‘দা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ।’ কত দল উপহার দিয়েছে কত বিস্ময়। শক্তি-সামর্থ্যে-ঐতিহ্যে ঢের এগিয়ে থাকা দলকে হারিয়ে জাগিয়েছে চমক। প্রায় শতবর্ষী টুর্নামেন্টে দেখা গেছে অনেক অবিশ্বাস্য ফল। কখনও কখনও সে সব বদলে দিয়েছে শিরোপা লড়াইয়ের চিত্র। এমন কিছু ম্যাচ চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে ফুটবলের গল্পগাঁথায়। 

আগামী রোববার কাতারে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপের ২২তম আসর। এবার কোন অঘটনের জন্ম দেবে বৈশ্বিক আসর, তা সময়ই বলবে। আপাতত অতীতের কয়েকটি বড় অঘটনের দিকে ফিরে তাকানো যাক।

ফ্রান্স ০-১ সেনেগাল, দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান আসর ২০০২

সেনেগালের প্রথম বিশ্বকাপ, প্রথম ম্যাচ। প্রতিপক্ষ ফ্রান্স, চার বছর আগে যারা ঘরের মাঠে জিতেছে বিশ্বকাপ। এর দুই বছর পর তাদের মাথায় উঠেছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুটও। জিনেদিন জিদান, থিয়েরি অঁরি, দাভিদ ত্রেজেগে, পাত্রিক ভিয়েইরাদের নিয়ে গড়া ফ্রান্স বিশ্বকাপ শিরোপা ধরে রাখতে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়া-জাপানের আসরে।

নামে-ভারে, ইতিহাস-ঐতিহ্যে ম্যাচটিতে পরিষ্কার ফেভারিট ছিল ফ্রান্স। কিন্তু সিওলে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী সেই ম্যাচে সব সমীকরণ উল্টে দিয়ে, বিশ্বকে তাক লাগিয়ে, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের স্তব্ধ করে দেয় সেনেগাল।

আগের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক জিদানকে সেবার প্রথম দুই ম্যাচে ফ্রান্স পায়নি চোটের কারণে। সামনে সেনেগাল বলে তার না থাকাটা খুব একটা দুর্ভাবনার কারণ হওয়ার কথা ছিল না ফরাসিদের জন্য।

ম্যাচের শুরুর দিকে এগিয়েও যেতে পারত ফ্রান্স। ত্রেজেগের একটি শট লাগে পোস্টে। ৩০তম মিনিটে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক ফাবিয়ান বার্থেজ ও ইমানুয়েল পেচচি। কাছ থেকে বল জালে ঠেলে সেনেগালকে উচ্ছ্বাসে ভাসান পাপা বুবা দিয়ুপ।

এরপরই তাদের সেই উদ্ভুত উদযাপন। দিয়ুপ গোল করেই জার্সি খুলে ছুটে যান কর্নার ফ্ল্যাগের কাছে। মাটিতে ফেলে দেন জার্সি। ওই জার্সি ঘিরে উদযাপনে মাতেন তার সতীর্থরা।

বাকি সময়ে ম্যাচে ফেরার অনেক সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান্স। কিন্তু সেনেগালের গোলরক্ষকের দেয়াল যেমন তারা ভাঙতে পারেনি, তেমনি অঁরির একটি শট লাগে ক্রসবারে। একটি শট ক্রসবারে লাগে সেনেগালেরও; তবে সেটি তাদের স্মরণীয় জয়ের পথে বাধা হতে পারেনি।

ওই হারের ধাক্কা বেশ জোরে লেগেছিল ফ্রান্স শিবিরে। পরের ম্যাচে তারা গোলশূন্য ড্র করে উরুগুয়ের সঙ্গে। পুরোপুরি ফিট না হলেও জিদানকে নামিয়ে দেওয়া হয় ডেনমার্কের বিপক্ষে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ওই ম্যাচে তারা হেরে বসে ২-০ গোলে। তিন ম্যাচের কোনোটি না জিতে, কোনো গোল না করে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা!

আর সেনেগাল? স্বপ্নময় পথচলায় শেষ ষোলোয় উঠে সুইডেনকে হারিয়ে তারা জায়গা করে নেয় কোয়ার্টার-ফাইনালে। সেখানে অবশ্য তাদের অভিযান থেমে যায় তুরস্কের কাছে হেরে।

পরের তিন আসরে আর বিশ্ব মঞ্চে জায়গা করে নিতে পারেনি আফ্রিকার দেশটি। ২০১৮ সালের রাশিয়া আসর দিয়ে ফেরার পর কাতারেও তারা ধরে রেখেছে জায়গা। 

ফ্রান্সের বিপক্ষে একমাত্র গোলটি করে জাতীয় নায়ক হয়ে গিয়েছিলেন দিয়ুপ। দীর্ঘদিন অসুস্থতায় ভুগে ২০২০ সালে ৪২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। আর ওই ম্যাচের অধিনায়ক আলিয়ু সিসে এখন সেনেগালের কোচ।

আর্জেন্টিনা ০-১ ক্যামেরুন, ইতালি আসর ১৯৯০

আগের আসরে দিয়েগো মারাদোনার নৈপুণ্যে বিশ্বকাপ জেতা আর্জেন্টিনা ইতালিতে পাড়ি জমায় শিরোপা ধরে রাখতে। মিলানের সান সিরোয় উদ্বোধনী ম্যাচে তাদের সামনে ক্যামেরুন, তার আগে কেবল একবারই বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল দলটির। আফ্রিকার দেশটির বিপক্ষে মারাদোনারা সহজে জিতবে বলেই ধারণা করেছিল সবাই।

কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে পাল্টে যায় হিসাব। প্রথমার্ধ কাটে গোলশূন্য স্কোরলাইনে। ৬১তম মিনিটে লাল কার্ডের খাঁড়ায় একজনকে হারিয়ে ফেলে ক্যামেরুন। পাঁচ মিনিট পর তারাই এগিয়ে যায়। বাকি সময়ে যা আর শোধ করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। শেষ দিকে ক্যামেরুন ৯ জনের দলে পরিণত হলেও জয়োল্লাসে মাঠ ছাড়ে তারা।

‘অদম্য সিংহ’ নামে পরিচিত ক্যামেরুন সেবার একের পর এক চমক জাগিয়ে পৌঁছে যায় কোয়ার্টার-ফাইনালে। সেখানে তারা হেরে যায় ইংল্যান্ডের কাছে।

শুরুর ওই ধাক্কা সামলে গ্রুপের তৃতীয় হয়ে নকআউট পর্বে ওঠা আর্জেন্টিনা শেষ পর্যন্ত উঠে যায় ফাইনালে। সেখানে তারা হারে তখনকার পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে, যাদের হারিয়েই চার বছর আগে তারা জিতেছিল বিশ্বকাপ, দ্বিতীয়বারের মতো।

ইতালির ওই আসরের পর ক্যামেরুন বিশ্বকাপে খেলেছে আরও পাঁচবার। একবারও তারা পার হতে পারেনি গ্রুপ পর্বের বৈতরণী।

আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ওই ম্যাচের গোলদাতা ফ্রঁসোয়া ওমাম-বিইয়িক তিন আসরে ম্যাচ খেলেছেন ১১টি, ক্যামেরুনের হয়ে যা সর্বোচ্চ। ওই সময়ে দলটির সবচেয়ে বড় তারকা ছিলেন রজার মিলা। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েও দেশের প্রেসিডেন্টের ফোন পেয়ে ইতালির ওই আসরের আগে ফিরে আসেন তিনি। সেবার গোল করেন চারটি। প্রতিটি গোলের পর কর্নার ফ্ল্যাগের কাছে গিয়ে তার নেচে উদযাপন মনোযোগ কাড়ে সবার।

যুক্তরাষ্ট্রে পরের বিশ্বকাপেও খেলেন মিলা, ৪২ বছর বয়সে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে গোলের রেকর্ডটা এখনও তার।

পশ্চিম জার্মানি ১-২ আলজেরিয়া, স্পেন আসর ১৯৮২

ততদিনে দুইবার বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তুলেছে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি। টুর্নামেন্টের ফেভারিটদের একটি তারা। তখন তারা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নও। তাদের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ আলজেরিয়ার সেবারই বিশ্ব মঞ্চে অভিষেক, প্রথম ম্যাচ। আফ্রিকার দেশটি সেই ম্যাচেই বড় অঘটনের জন্ম দেয় শক্তিশালী পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে।   

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৫৪তম মিনিটে রাবাহ মেজরের গোলে এগিয়ে যায় আলজেরিয়া। ৬৭তম মিনিটে জার্মান অধিনায়ক কার্ল-হেইঞ্জ রুমেনিগে সমতা টানলেও পরের মিনিটেই আবার আলজেরিয়াকে এগিয়ে নেন লাখদার বেলোমি। সেই গোলই গড়ে দেয় ব্যবধান।

আলজেরিয়া পরের ম্যাচে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে হেরে গেলেও শেষ ম্যাচে চিলিকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করে তোলে।

পরদিন ছিল পশ্চিম জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার মুখোমুখি লড়াই। ম্যাচটা জার্মানরা এক বা দুই গোলের ব্যবধানে জিতলে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যাবে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া। জার্মানরা এর বড় ব্যবধানে জিতলে তাদের সঙ্গে পরের ধাপে যাবে আলজেরিয়া। আর অস্ট্রিয়ার ড্র কিংবা জয় ছিটকে দেবে জার্মানদের। কিন্তু দুই ইউরোপিয়ান দল ‘বিতর্কিত ম্যাচ’ খেলে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করে দেয় আলজেরিয়াকে।

স্পেনের গিহনে ওই ম্যাচের ১০ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যায় পশ্চিম জার্মানি। বাকি সময়ে গোল দেওয়ার কোনো চেষ্টাই দেখা যায়নি দুই দলের মাঝে।

ব্যাপক নিন্দার ঝড় তুলেছিল ওই ম্যাচ। আলজেরিয়া ফিফার কাছে প্রতিবাদও করেছিল। যদিও কোনো লাভ হয়নি। ওই ঘটনা থেকেই মূলত বিশ্বকাপে প্রতিটি গ্রুপের শেষ দুটি ম্যাচ একই সময়ে খেলার সিদ্ধান্ত হয়।

জার্মানরা পরে ওই আসরের ফাইনালেও উঠেছিল। যেখানে তাদের হারিয়ে নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ জিতেছিল ইতালি।

আলজেরিয়া এরপর বিশ্বকাপে খেলেছে আরও তিনবার। ২০১৪ ব্রাজিলে আসরে শেষ ষোলোয় খেলা তাদের সেরা সাফল্য। সেবার অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে হেরেই থেমে যায় তাদের পথচলা। 

গিহনের ওই ম্যাচে আলজেরিয়ার প্রথম গোলদাতা মেজর গত শতকের আশির দশকে ইউরোপিয়ান ফুটবলে তারকা হয়ে ওঠেন। জার্মান প্রতিপক্ষ সামনে পেলে যেন গোল করতে একটু বেশিই পছন্দ করতেন এই স্ট্রাইকার। ১৯৮৭ সালের তখনকার ইউরোপিয়ান কাপের (বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে পোর্তোর ২-১ গোলের জয়ে একটি করেছিলেন তিনিই। প্রথমবার ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বাদ পেয়েছিল পর্তুগিজ দলটি।   

ব্রাজিল ১-২ নরওয়ে, ফ্রান্স আসর ১৯৯৮

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেবার ফ্রান্সে পা রাখে ব্রাজিল। গ্রুপ পর্বে প্রথম দুই ম্যাচে স্কটল্যান্ড ও মরক্কোকে হারিয়ে শেষ ষোলোর টিকেটও নিশ্চিত করে ফেলে তারা। কিন্তু শেষ ম্যাচে ঘটে যায় বড় অঘটন। বেবেতো, রবের্তো কার্লোস, রোনালদো, রিভালদো, দুঙ্গাদের নিয়ে নিয়ে গড়া ব্রাজিলকে ছয় মিনিটের এক ঝড়ে মাটিতে নামিয়ে আনে নরওয়ে।

মার্সেইয়ে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৭৮তম মিনিটে ব্রাজিলকে এগিয়ে নেন বেবেতো। সেই ব্যবধান ধরে রেখে জয়ের পথেই ছিল তারা। নির্ধারিত সময়ের শেষ সাত মিনিটে পাল্টে যায় চিত্র। ৮৩তম মিনিটে নরওয়ে সমতায় ফেরে তোরে আন্দ্রে ফ্লোরের গোলে। আর ৮৯তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে তাদের উচ্ছ্বাসে ভাসান শিয়াতিল রেকডাল।

প্রথম দুই ম্যাচ ড্র করা নরওয়ে ওই জয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় হয়ে উঠে যায় নকআউট পর্বে। শেষ ষোলোয় তারা হেরে যায় ইতালির বিপক্ষে।

নরওয়ের কাছে ওই হারের ধাক্কা সামলে ব্রাজিল পৌঁছে যায় ফাইনালে। যেখানে জিনেদিন জিদানের বীরত্বে ট্রফি উঁচিয়ে ধরে ফ্রান্স।

মার্সেইয়ের ওই জয়টিই এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে নরওয়ের সবশেষ জয়। এরপর যে আর কখনও বিশ্ব মঞ্চে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি তারা।  

ইংল্যান্ড ০-১ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল আসর ১৯৫০

ইংল্যান্ড দলকে ওই সময়ে বলা হতো ‘ফুটবলের রাজা।’ স্ট্যানলি ম্যাথিউস, উইল্ফ ম্যানিয়ন, টম ফিনির মতো বিশ্বখ্যাত তারকাদের নিয়ে তারা ব্রাজিলে এসেছিল নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র দলে ছিল আধা-পেশাদার খেলোয়াড়, যাদের বেশিরভাগই জীবিকার তাগিদে যুক্ত ছিল অন্য পেশার সঙ্গে। কেউ স্কুল শিক্ষক, কেউ ডাকপিওন, আবার কেউ কাজ করতেন মিলে, যারা টুর্নামেন্টের আগে একসঙ্গে খেলেছিলেন কেবল একবার।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ইংল্যান্ড ছিল তাই পরিষ্কার ফেভারিট। ইংলিশদের পক্ষে বাজির দর ছিল ৫০০: ১।

কিন্তু বেলো হরিজন্তেতে প্রায় ১০ হাজার দর্শকের সামনে ইংল্যান্ডকে স্তব্ধ করে, সব হিসাব পাল্টে দিয়ে প্রথমার্ধের একমাত্র গোলে স্মরণীয় জয় তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের কাছে ব্যাপারটা এতটাই আশ্চর্যের ছিল যে, তারা ভেবেছিল হয়তো কোনো টাইপোগ্রাফিক ভুল হয়েছে। তাই কিছু পত্রিকা নাকি সংবাদ ছেপেছিল ইংল্যান্ড আসলে ১০-০ বা ১০-১ গোলে জিতেছে।

এই ঘটনা সত্য বা মিথ্যা যাই হোক, ইংল্যান্ডের হারটা সবার কাছে ছিল ঠিক এমনই বিস্ময়কর। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঘটনগুলির একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই ম্যাচকে।

ইংল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্র দুই দলই সেবার প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছিল। তাদের গ্রুপ থেকে চার দলের ফাইনাল রাউন্ডে উঠেছিল স্পেন।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওই ম্যাচের একমাত্র গোলদাতা ছিলেন হাইতিতে জম্ম নেওয়া ফরোয়ার্ড জো গায়েতজেন্স। সেই বছর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপ দলে ডাক পাওয়ার সময় তিনি কাজ করতেন রেস্টুরেন্টে ডিশওয়াশার হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে কেবল তিনটি ম্যাচই খেলেন তিনি, ওই বিশ্বকাপে। এর আগে-পরে আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলেন হাইতির হয়ে। হাইতিতে ১৯৬৪ সালে রহস্যজনক মৃত্যু হয় তার।