পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠলেও কেউ যেন ঘাবড়ে না যায়, খেই হারিয়ে না ফেলে- ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ফিরতি লেগে সতীর্থদের কাছে এটাই চাওয়া অধিনায়কের।
Published : 25 Mar 2024, 07:34 PM
ঘরের মাঠে খেলা মানেই সব দলের জন্য আরেকটু আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার উপলক্ষ। সঙ্গে পরিসংখ্যানের পাতায় হতাশার গল্প লেখা না থাকলে সাহস আরেকটু বাড়ে বৈকি। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ফিরতি লেগের ম্যাচটি হাতের তালুর মতো চেনা মাঠ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বলে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া জোরাল কণ্ঠে বলতে পারলেন, এখানে অপরাজিতই থাকতে চাই।
এ পর্যন্ত কিংস অ্যারেনায় চারটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচের ফল ড্র। এই আঙিনায় প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র জয়ের স্বাদ মিলেছে ২০২৬ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্রথম ধাপে; মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-১ গোলে।
বাছাইয়ের দ্বিতীয় ধাপ বাংলাদেশ শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ৭-০ গোলে হেরে। ওই হারের ধাক্কা সামলে লেবাননের বিপক্ষে এ মাঠেই ১-১ ড্র করেছিল হাভিয়ের কাবরেরার দল। এই ধাপে এখন পর্যন্ত এই ১ পয়েন্টই পুজি জামালদের।
কুয়েতে গত বৃহস্পতিবার প্রথম লেগে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বাংলাদেশ উড়ে যায় ৫-০ গোলে। এই টালমাটাল অবস্থা সামলে নিতে কিংস অ্যারেনার চেনা সবুজে নিজেদের অতীত পরিসংখ্যান থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজছে দল। মঙ্গলবার এখানে বেলা সাড়ে ৩টায় ফিরতি লেগে ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
সংবাদ সম্মেলনে সোমবার জামালের কণ্ঠেও ঘুরেফিরে এলো প্রথম লেগের বড় হারের হতাশার কথা। তবে চেনা মাঠে, সমর্থকদের সামনে নিজেদের সেরাটা মেলে ধরার আশাবাদও অধিনায়ক শোনালেন আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে।
“৩ পয়েন্ট পেলে সেটা আমাদের জন্য হবে সর্বোচ্চ ভালো বিষয়; অবশ্যই আমরা চাই না নিজেদের দর্শকদের সামনে হারতে, কিংস অ্যারেনায় যে রেকর্ড আছে (অপরাজিত থাকা), সেটা আসলে আমাদের ধরে রাখতে হবে। কেননা, এটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা সমর্থক, আপনাদের (গণমাধ্যমকর্মী) সামনে এই মাঠে ভালো পারফরম্যান্স দিচ্ছি।”
“কোচ যেটা উল্লেখ করেছেন…আমরা অনেক দিন একসাথে আছি। তো আগামীকাল আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। কোচও বলেছেন, প্রথম ম্যাচ ছিল ভীষণ হতাশাজনক, কিন্তু আমাদের সামনের দিকে, সামনের ম্যাচের দিকে তাকাতে হবে। সবশেষ ম্যাচে কী হয়েছে, কী না হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে অনেক আলোচনা করেছি। গত ম্যাচে কী হয়েছে, সেটা আমাদের ভুলে যেতে হবে, সব মনোযোগ থাকতে হবে কালকের ম্যাচে- এদিকেই আমাদের মূল দৃষ্টি।”
কুয়েতে ম্যাচের প্রথম দিকে ফিলিস্তিনের চোখে চোখ রেখে লড়াই করছিল বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ দিকে আচমকা ছন্দ হারিয়ে একের পর এক গোল হজম করে তারা। জামালের চাওয়া এমন কঠিন পরিস্থিতি এলে যেন ঘাবড়ে না নিয়ে প্রস্তুত থাকে সতীর্থরা।
“যেটা আমি মনে করেছি, ৪২-৪৬ মিনিট ওখানে একটা ছন্দপতন হয়েছিল। এরপর ৪৮ থেকে ৫৬-এই আট মিনিট আরেক দফা ছন্দপতন হয়। বলতে পারব না, আসলে কী হয়েছিল। তবে এটা নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি… যদি পরবর্তী ম্যাচগুলোতে এমন পরিস্থিতিতে পড়ি, তাহলে যেন কতটা কমপ্যাক্ট থাকতে পারি। ওই ১০ মিনিট আসলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের এখান থেকে শিখতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে, এছাড়া আর কিছু তো করার নাই, তাই না?”