দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি দিতে স্থানীয়ভাবে কমিটি করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

শৈত্যপ্রবাহ, তীব্র দাবদাহ, বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির সিদ্ধান্ত নিতে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কমিটি গঠনের জন্য একটি নীতিমালা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

মঙ্গলবার ঢাকা টিচার ট্রেনিং কলেজে বঙ্গবন্ধু সুজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, “আমাদের নির্দিষ্ট কর্মদিবস আছে বিদ্যালয়গুলোর জন্য। এখন আমাদের প্রয়োজনে শনিবার বিদ্যালয় খোলা রেখেছি। কারণ বেশ কিছুদিন বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এটি স্থায়ী বিষয় নয়। প্রয়োজনবোধে যে কোনো ছুটির দিন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত আগেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এটা নতুন কিছু নয়।

“শুক্রবারও তো অনেক জায়গায় পরীক্ষা হয়, আগেও নেওয়া হত। সেটা শুক্রবার হোক, শনিবার হোক, প্রয়োজন সাপেক্ষে খোলা রাখতে পারব।”

ঈদের ছুটির পর গরমের কারণে আরও এক সপ্তাহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছিল সরকার। রোববার থেকে ক্লাস শুরু হওয়ার পর গরমে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর আসে। পরে রোববার থেকেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাপমাত্রা অনুযায়ী জেলাওয়ারি ছুটি ঘোষণা করে আসছে।

এই চরম আবহাওয়ার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে অনেকে সমালোচনা করছেন। এক রিট আবেদনের পর উচ্চ আদালতও বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেছে।

একেকবার একেক ধরনের নির্দেশনার কারণে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদেরও বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এর আগে চলতি বছরের শুরুতে শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেও স্কুল খোলা বা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে তালগোল পাকিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে নওফেল বলেন, “একেক জেলায় একেক তাপমাত্রা। যে সমস্ত জেলায় আমাদের সন্তানরা অতিবৃষ্টির কারণে, বন্যার কারণে স্কুলে যেতে পারে না, অনেক কষ্ট হয়, স্কুল বন্ধ থাকে। সে সমস্ত জায়গায় শুষ্ক মৌসুমেই শিক্ষা কার্যক্রম তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে তাদের শিখন ফল অর্জনের জন্য।”

উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ী ১৩৫ জন শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধু সুজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ এর জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্য থেকে ১৫ জন জাতীয় পর্যায়ে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন।