ভুটানকে হারিয়ে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করার পর ডিফেন্ডার তপু বর্মন বললেন, আরও বড় উপলক্ষের জন্য উদযাপন জমা রেখেছেন তারা।
Published : 29 Jun 2023, 10:57 AM
জামাল ভূঁইয়া এবং তপু বর্মন-একই পথের পথিক। দুজনেরই এটি পঞ্চম সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। আগের চার আসরে যাদের তাদের সঙ্গী গ্রুপ পর্ব বা প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যাওয়ার হতাশা। সেই ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে অবশেষে জামালের মতো বেরিয়ে এলেন তপুও। এতদিনের শ্রম ও দলীয় প্রচেষ্টায় গেরো ছোটানোর তৃপ্তি এখন অনুভব করছেন অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার।
বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভো স্টেডিয়ামে বুধবার ভুটানকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে ১৪ বছর পর সাফের সেমি-ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প রচনা করে জয় তুলে নিয়েছে দল।
‘প্রথম চাওয়া’ পূরণের স্বস্তি আছে ঠিকই, কিন্তু নিজেদের করণীয় এখনও শেষ হয়নি বলেই মনে করেন তপু। প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণের তৃপ্তি যে চূড়ান্ত চাওয়া পূরণের তাড়না তৈরি করে দেয়, তা এই ২৮ বছর বয়সী ডিফেন্ডারের কথাতেই স্পষ্ট।
“(সেমি-ফাইনালে ওঠা) অনেক ইতিবাচক ব্যাপার। কঠোর পরিশ্রমের সুফল এটা। আমরা মিলিতভাবে দল হিসেবে কাজ করেছি। আমার মনে হয়, একসঙ্গে থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ১৪ বছর পর সেমি-ফাইনাল খেলব। আমরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছি, আমাদের টিম ওয়ার্কের সুফল পেয়েছি। সবাই খুব খুশি।”
সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করার পর দলে সেভাবে উদযাপন হয়নি বলে জানালেন তপু। আসল উদযাপন তারা জমা রাখতে চান আরও বড় উপলক্ষের জন্য।
“(ভুটানকে হারানোর পর) ড্রেসিং রুমে তেমন কিছু হয়নি, কারণ সবাই ক্লান্ত ছিল। ছয় দিনে তিনটা ম্যাচ খেলেছি। সেভাবে উদযাপন করা দরকার সেভাবে করতে পারিনি। সেমি-ফাইনাল জিতে উদযাপন করতে চাই।”
মিডফিল্ডার মোহাম্মদ সোহেল রানার এটি প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। কখনও ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, কখনও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলেন তিনি। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই ছিলেন শুরুর একাদশে। ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলারের মনে হচ্ছে সেমি-ফাইনালে কুয়েতের বিপক্ষে আরও আলো ছড়াবে বাংলাদেশ।
“গত ১৪ বার যা হয়নি, এবার তা হয়েছে, আমরা সেমি-ফাইনালে উঠেছি। এই দলে থাকতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। আমার কাছে মনে হয়, সেমি-ফাইনালে কুয়েতের বিপক্ষে আমরা আরও ভালো খেলব। সবাই আত্মবিশ্বাসী।”
আগামী শনিবার কুয়েতের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২০০৫ সালের পর প্রথমবারের মতো শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে ওঠার হাতছানি হাভিয়ের কাবরেরার দলের সামনে।