Published : 16 Jul 2023, 07:55 PM
ভালো কিছু সুযোগ তৈরি করল বাংলাদেশ, কিন্তু পেল না তারা গোলের দেখা। নেপালও পারেনি ঝলক দেখাতে। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচও হলো ড্র। পরে সিরিজের ট্রফি নিষ্পত্তির জন্য হলো টাইব্রেকার, যেখানে হেরে গেল বাংলাদেশ।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রোববার দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটি গোলশূন্য ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়।
গত বছর সেপ্টেম্বরে কাঠমাণ্ডুতে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে মেয়েদের সাফে প্রথম শিরোপা জিতেছিল সাবিনা-কৃষ্ণারা। প্রতিশোধের মিশনে এসে বাংলাদেশ থেকে নেপাল জয় নিয়ে ফিরতে না পারলেও অন্তত ট্রফি নিয়ে ফিরল।
ক্রসবার কাঁপাল সাবিনার শট
আগের ম্যাচের একাদশ অপরিবর্তিত রেখেই ছক সাজান কোচ লিটু। চতুর্থ মিনিটেই গোলের আনন্দে ডানা মেলতে পারত বাংলাদেশ, কিন্তু ক্রসবারের বাধায় হয়নি।
বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় তারা। মনিকা চাকমা আলতো টোকা দেওয়ার পর একটু ঝুলিয়ে শট নেন সাবিনা, লাফিয়ে ওঠা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে।
মারিয়ার সুযোগ নষ্ট
দীর্ঘদিন পর খেলার জড়তা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে না পারলেও সুযোগ বেশি তৈরি করে বাংলাদেশ। ৩৬তম মিনিটে দারুণ চার্জে অনিকা বাসনেতের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে ওঠেন মারিয়া মান্দা। একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডি-বক্সে গিয়ে ভারসাম্য হারান এই মিডফিল্ডার।
আফিদা খন্দকার ও মাসুরা পারভীন শুরু থেকেই কড়া পাহারায় রেখেছিলেন সাবিত্রা ভান্ডারিকে। নেপালের এই তারকা ফরোয়ার্ড তাই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার সুযোগই পাননি, পোস্টের নিচে রুপনা চাকমারও কাটে অলস সময়।
দ্বিতীয়ার্ধে তিন বদলি বাংলাদেশের
তিনটি বদল এনে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে বাংলাদেশ। কৃষ্ণা রানী সরকার, তহুরা খাতুন ও সানজিদা আক্তারকে তুলে সুমাইয়া মাতসুশিমা, শাহেদা আক্তার রিপা ও ঋতুপর্না চাকমাকে নামান কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু। কিন্তু দলের খেলায় ফেরেনি চেনা গতি, ছন্দ।
৮৭তম মিনিটে দিপা শাহির শটে গতি থাকলেও বলের লাইনে থাকায় সহজেই আটকান রুপনা। একটু পর গোলরক্ষক আঞ্জিলা সুবাকে তুলে অঞ্জনা রানা মাগারকে বদলি নামান নেপাল কোচ। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে মারিয়ার বাঁকানো কর্নার উপরের জাল কাঁপায়। এরপরই বাজে ম্যাচ শেষের বাশি।
টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি
টাইব্রেকারে বাংলাদেশের শামসুন্নাহার, মনিকা চাকমা জালের দেখা পান। শিউলি আজিমের দুর্বল শট অনায়াসে আটকান রানা মাগার আর মারিয়ার শটে ছিল না গতি, সেটিও ঝাঁপিয়ে আটকান গোলরক্ষক।
পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করেন নেপালের সাবিত্রা, হিরা কুমারী, দিপা শাহি, অনিতা কেসি। তৃতীয় স্পট কিকে গোলরক্ষক রানা মাগারের শট পোস্টে লেগে ফিরলে আশা বেঁচে ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু মারিয়ার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে গুঁড়িয়ে যায় তাদের আশা।