প্রথম আধা ঘন্টায় আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই হলো জমজমাট। তবে সময়ের সঙ্গে লড়াইটা হয়ে গেল অনেকটা একপেশে। চেনা আঙিনায় ভালেন্সিয়াকে উড়িয়ে লা লিগায় জয়ের পথে ফিরল রেয়াল মাদ্রিদ।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে শনিবার রাতে লিগ ম্যাচটি ৫-১ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
দানি কারভাহাল স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর দুটি করে গোল করেন দুই ব্রাজিলিয়ান ভিনিসিউস জুনিয়র ও রদ্রিগো। শেষ দিকে সফরকারীদের হারের ব্যবধান কমান হুগো দুরো।
লা লিগায় এক ম্যাচ পর ফের জয়ের স্বাদ পেল রেয়াল। গত রাউন্ডে রায়ো ভাইয়েকানোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল তারা।
কাঁধের চোটে ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে স্কোয়াডে ছিলেন না জুড বেলিংহ্যাম। দারুণ ছন্দে থাকা ইংলিশ মিডফিল্ডারের অভাব বুঝতেই দিলেন না অন্যরা।
তৃতীয় মিনিটে কারভাহালের চমৎকার গোলে এগিয়ে যায় রেয়াল। টনি ক্রুসের পাস ডি-বক্সের বাইরে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের ভলিতে বল জালে পাঠান তিনি।
চলতি মৌসুমে লা লিগার ম্যাচে রেয়ালের দ্রুততম গোল এটি (২ মিনিট ১৪ সেকেন্ড)।
পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। ক্রুসের ফ্রি-কিক ক্রসবার কাঁপিয়ে ফিরে আসে।
একটু পর চার মিনিটের মধ্যে দুটি সুযোগ পায় ভালেন্সিয়া। প্রথমে কাছ থেকে দুরোর প্রচেষ্টা পা দিয়ে ফেরান আন্দ্রি লুনিন। পরেরবার ওয়ান-অন-ওয়ানে দুরোর শট ব্যর্থ করে দেন ইউক্রেইনের এই গোলরক্ষক।
ষোড়শ মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে ভালেন্সিয়ার ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করে বক্সে ঢুকে পড়েন ভিনিসিউস। তার শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ২৯তম মিনিটে এই তারকার প্রচেষ্টা ঠেকান গোলরক্ষক।
৪১তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ হারান দুরো। সতীর্থের ক্রস দূরের পোস্টে পেয়ে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তরুণ এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
পরের মিনিটেই ব্যবধান বাড়ান ভিনিসিউস। ডান দিক থেকে রদ্রিগো নিচু ক্রস বাড়ান বক্সে, ছুটে গিয়ে নিচু হয়ে বুক দিয়ে বল জালে পাঠান ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পরপর দুই মিনিটে দুটি গোলে স্কোরলাইন ৪-০ করে ফেলে রেয়াল।
৫০তম মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে শটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ভিনিসিউস। পরের মিনিটে জালের দেখা পান রদ্রিগো। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ভুলে বল পেয়ে জালে জড়ান ব্রাজিয়ান উইঙ্গার।
৮২তম মিনিটে ভিনিসিউসকে তুলে নেন রেয়াল কোচ। এর দুই মিনিট পর দারুণ ফিনিশিংয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রদ্রিগো।
প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ নষ্ট করা দুরো ৮৮তম মিনিটে হাফ ভলিতে ব্যবধান কমান। শেষ মুহূর্তে সফরকারীদের আরেকটি প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দেন লুনিন।
১৩ ম্যাচে ১০ জয় ও দুই ড্রয়ে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রেয়াল। সমান ম্যাচে ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে জিরোনা।
১২ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে বার্সেলোনা। ১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে ভালেন্সিয়া।