দেরিতে রওনা দিয়ে নেশন্স কাপে ক্যামেরুনের প্রথম ম্যাচ খেলতে না পারায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন আন্দ্রে ওনানা।
Published : 18 Jan 2024, 02:11 PM
নেশন্স কাপে ক্যামেরুনের হয়ে প্রথম ম্যাচ থেকে খেলার ইচ্ছা ছিল আন্দ্রে ওনানার, কিন্তু বিমান ধরেছিলেন দেরিতে। তাতেই বিপত্তি। গিনির বিপক্ষে খেলা হয়নি তার। দেশের ডাকে সাড়া দিতে দেরি করায় স্বাভাবিকভাবে সমালোচনার তির ধেয়ে আসছে তার দিকে। তা আপাতত মাথা পেতে নিচ্ছেন ওনানাও।
ওনানা যথাসময়ে না আসতে পারায় পোস্ট সামলান ফাব্রিস ওন্দোয়া। গিনির বিপক্ষে ১-১ ড্র করে প্রতিযোগিতা শুরু করে নেশন্স কাপের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ক্যামেরুন।
ওনানার দেরিতে রওনা দেওয়ার কারণ মূলত গত রোববার টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যাচ। ২-২ ড্রয়ের ওই ম্যাচ খেলে রওনা দেন তিনি। বিমানে পাঁচ হাজার মাইল পাড়ি দেওয়ার পর আরও দেড়শ মাইল তাকে যেতে হয় সড়ক পথে। গিয়ে ২৭ বছর বয়সী গোলরক্ষক জানতে পারেন, ম্যাচের স্কোয়াডে নেই তিনি।
জাতীয় দলের প্রয়োজনে যথাসময়ে সাড়া না দেওয়ায় ওনানাকে কড়া সমালোচনা করেন এমানুয়েল আদেবায়ের। টোগোর এই ফরোয়ার্ড স্কাই স্পোর্টসকে বলেন, দেশকে সম্মান করেননি ওনানা।
“আমিও তার মতো খেলোয়াড় ছিলাম এবং দলের জন্য সবচেয়ে অপরিহার্য সদস্য ছিলাম, আমি কখনোই এমনটা করিনি (ম্যাচ ডে’তে দলে যোগ দেওয়া)।”
সব সমালোচনা আপাতত পরিস্থিতির কারণে মেনে নিচ্ছেন ওনানা। তবে ইউনাইটেডের এই গোলরক্ষক ইঙ্গিত দিয়েছেন সময় হলেই মুখ খুলবেন তিনি।
“অনেক কিছু বলার আছে আমার, কিন্তু এখানে বলব না। কেননা, আমরা একটা প্রতিযোগিতার মধ্যে আছি।”
“আমার সমালোচনা হচ্ছে, হতে দিন। আমি এসবে অভ্যস্ত। দেশের জন্য যেটা ভালো, আমি সেটাই করি। (ক্লাব ও জাতীয় দল) বেছে নেওয়া হচ্ছে আমার কাছে বাবা এবং মায়ের মধ্যে কাউকে বেছে নেওয়া, কিন্তু দেশই আমার কাছে প্রথম এবং এ কারণেই আমি এখানে। আমরা একতাবদ্ধ। এখানে জিততে এসেছি আমরা।”
জাতীয় দলের সঙ্গে ওনানার টানাপোড়েন এই প্রথম নয়। এর আগেও টিম ম্যানেজার রিগোবার্ট সং এবং ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট স্যামুয়েল এতোর সাথে বেঁধেছিল তার। এ কারণে ২০২২ বিশ্বকাপের মাঝপথে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবার নেশন্স কাপের শুরুতে ওনানা দলের সঙ্গে যোগ দেবেন কিনা, সেটাও পরিষ্কার ছিল না।