পাত্রিক অঁতোঁ মনে করেন, ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালনের যোগ্য নন নোয়েল লে গ্রেত।
Published : 11 Jan 2023, 05:17 PM
জিনেদিন জিদানকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করার পর থেকে ফ্রান্সে তীব্র চাপের মুখে আছেন নোয়েল লু গ্রেত। তার ওপর ভীষণ ক্ষিপ্ত জাতীয় এথিকস কমিটি। ফ্রেঞ্চ ফুটবলের ফেডারেশনের এই কমিটির প্রধান পাত্রিক অঁতোঁ মনে করেন, সীমা অতিক্রম করে ফেলেছেন ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফএফ) সভাপতি। লে গ্রেতকে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ফরাসি সংবাদপত্র লেকিপে-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় গত মঙ্গলবার লে গ্রেতকে একহাত নেন অঁতোঁ। তিনি মনে করেন, এফএফএফের সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের জন্য অযোগ্য লে গ্রেত।
“লে গ্রেতে যে মন্তব্য করেছেন, তা দেখাচ্ছে যে তিনি কিছু স্বচ্ছতা হারিয়েছেন। তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি ক্লান্ত, তাকে সরে যাওয়া দরকার।”
“আমাদের একটি শক্তিশালী ও নির্মল শাসন ব্যবস্থা প্রয়োজন, যা দুর্ভাগ্যবশত আর হচ্ছে না। পুরো মৌসুমে আমাদের নেতাদের ক্ষেত্রে নীতি-নৈতিকতার নিয়ম প্রয়োগ করতে হবে-বিশেষ করে জেলা এবং লিগ সভাপতিদের জন্য এবং বিষয়গুলোকে শৃঙ্খলা কমিটিতে পাঠাতে হবে, কারণ তারা সীমা অতিক্রম করছে৷”
অঁতোঁর মতে, ফরাসি ফুটবলের স্বার্থে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়া উচিত লে গ্রেতের। লেকিপের রিপোর্ট অনুযায়ী, এফএফএফের কার্যনির্বাহী কমিটির একটি সভা বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
“ফেডারেশনের সভাপতিকে নিয়ে বললে…যদিও আমরা স্পষ্টতই বিষয়টিকে একটি শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠাতে চাই না, কিন্তু আমরা কেবল ফুটবলের বৃহত্তর স্বার্থে তাকে পদত্যাগ করতে বলতে পারি।”
মূলত ফ্রান্স ফুটবল দলের কোচ হিসেবে দিদিয়ে দেশমের মেয়াদ বাড়ানো থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। দলকে টানা দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়ে যাওয়া এই কোচের চুক্তি ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাড়ায় ফেডারেশন। যদিও এবার জিদান দায়িত্ব পেতে পারেন বলে জোর আলোচনা ছিল।
বিশ্বকাপজয়ী এই মিডফিল্ডার এখন ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব পেতে পারেন বলে গুঞ্জন আছে। ফ্রান্সের আরএমসি রেডিওতে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লু গ্রেতের কাছে এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়। এতে বেশ চটে যান ৮১ বছর বয়সী লু গ্রেত। তিনি বলেন, “আমার তাতে মাথাব্যথা নেই। তার যেখানে ইচ্ছা সে যেতে পারে।”
ফ্রান্সের ১৯৯৮ বিশ্বকাপ ও ২০০০ ইউরো জয়ের নায়ক জিদান। ২০০৬ বিশ্বকাপে তার অসাধারণ পারফরম্যান্সেই আরেকটি শিরোপা জয়ের কাছাকাছি গিয়েছিল ফ্রান্স। দেশের ইতিহাসের সর্বকালের সেরাদের একজন তিনি।
এমন একজন জাতীয় আইকনকে নিয়ে ওই মন্তব্য করা লু গ্রেতের সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হওয়ার পরই তুমুল হইচই শুরু হয় ফ্রান্সে। খেলোয়াড়, ক্রীড়ামন্ত্রী, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে অনেকের তোপের মুখে পড়েন লু গ্রেত। এর প্রেক্ষিতে এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান লু গ্রেত।