ঢাকা, এপ্রিল ২৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সোমবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। ১২২ জন কাউন্সিলর বাফুফের নতুন কমিটি গঠন করবেন। বাফুফে ভবনে সকাল ১১ থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সাধারণ সভা শেষে দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ।
এবারে নির্বাচনে ২১টি পদের জন্য ৫২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আব্দুর রহিম সরে দাঁড়ানোয় সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিনের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
তবু সভাপতি পদে নির্বাচন হবে। কারণ রহিম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। তাই নির্বাচন কমিশন তার প্রত্যাহার আবেদনও গ্রহণ করেনি।
সভাপতি ছাড়া বাকি ২০টি পদে তীব্র লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। মূল লড়াই সম্মিলিত ঐক্য পরিষদ ও ফুটবল বাঁচও পরিষদ নামের দুটি প্যানেলের মধ্যে। এছাড়াও বিক্ষিপ্তভাবে কয়েক জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতির একটি পদের জন্য ৫ জন লড়াই করবেন। তারা হলেন বাফুফের আগের কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক তারকা ফুটবলার আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু, গোলাম রাব্বানি হেলাল, শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী ও মোহামেডানের সাবেক অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তাকুর রহমান।
চারটি সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মনজুর হোসেন মালু, কাজী নাবিল আহমেদ, বাদল রায়, শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালি সাব্বির, খোরশেদ আলম বাবুল, আরিফ খান জয়, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও তাবিথ আউয়াল।
১৫টি সদস্য পদের জন্য লড়ছেন ৩৬ জন। তাদের মধ্যে উল্লে¬খযোগ্য সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রের কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক, আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু, জাতীয় দলের সাবেক কোচ হাসানুজ্জামান খান বাবলু, আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স প্রমুখ।
এদিকে বাফুফের নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে করা রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। কাউন্সিলর মনোনয়নে অনিয়মের অভিযোগে স্থগিতাদেশ চেয়ে চতুর্থ সহকারী জজ আদালতে করা রিট আবেদনটি রোববার খারিজ হয়ে যায়। ফলে সোমবার বাফুফের নির্বাচন হতে আর কোনো বাধা রইলো না।
গত বুধবার চুয়াডাঙ্গা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম এবং গাইবান্ধা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার সরকার রিট আবেদনটি করেন। বৃহস্পতিবার বাফুফে এর জবাব দেয়।
রোববার শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ সহকারী বিচারক মোসাম্মত ফাইজুন নেসার আদালত বাদী পক্ষের আবেদনটি খারিজ করে দেন। বাফুফে নিযুক্ত আইনজীবি অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর জানান, “এই রায়ের ফলে ৩০ এপ্রিল নির্বাচন আয়োজনে কোনো বাধা নেই।”
১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের জন্ম। তার পরের বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সভাপতি হন গোলাম মোস্তফা গাজী। তিনি ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন।
এর পর থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত অ্যাডহক কমিটি বাফুফে পরিচালনা করেছে। ১৯৯৮ সালের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হন হারুনুর রশিদ। আর সভাপতি মনোনীত হন ঢাকার সে সময়ের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। সেই নির্বাচনে সরকারী দলের প্রাধান্য ছিল।
২০০৩ সালেও সরকারী দল প্রভাবিত নির্বাচনে সভাপতি হন এস এ সুলতান ও সাধারণ সম্পাদক হন আনোয়ারুল হক হেলাল।
তবে ঐ দুটো নির্বাচনই সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়।
সরকারের প্রভাববিহীন সবার জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয় ২০০৮ সালে। ঐ নির্বাচনে জিতে সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিটি ক্ষমতা গ্রহণ করে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএইচ/এএআর/১৯৪৮ ঘ.