পিএসজির হয়ে দারুণ খেললেও মাঝে কিছুদিন ছিলেন জাতীয় দলের বাইরে। এ নিয়ে নিজের হতাশা গোপন করেননি আনহেল দি মারিয়া। এ মাসের শুরুতে বিশ্বকাপ বাছাই দিয়ে ফিরেন আর্জেন্টিনা দলে। ভালো করছেন কোপা আমেরিকাতেও। সব মিলিয়ে নিজের পারফরম্যান্সে খুশি তিনি। অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডার মনে করছেন, সামর্থ্যের ছাপ রাখতে পারছেন তিনি।
Published : 22 Jun 2021, 04:33 PM
প্যরাগুয়ের বিপক্ষে শুরুর একাদশে ছিলেন দি মারিয়া। আক্রমণের পাশাপাশি অবদান রাখেন রক্ষণেও। তার পাস থেকে আলেহান্দ্রো গোমেসের শুরুর গোলে জেতে আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকালে ম্যাচটি ১-০ ব্যবধানে জিতে কোপা আমেরিকার শেষ আটে পৌঁছায় লিওনেল স্কালোনির দল।
ম্যাচ শেষে ৩৩ বছর বয়সী দি মারিয়া জানান, দলের বাইরে থাকা ছিল তার জন্য বেদনাদায়ক।
“সবাই খেলতে চায় এবং শুরুর একাদশে থাকতে চায়।… দলে থাকাটা সব সময় আনন্দের। প্রতিটি অনুশীলন সেশনে আমি আমার সর্বোচ্চটা দিই এটা দেখাতে যে আমি শতভাগ নিবেদিত।”
চিলির বিপক্ষে ১-১ ড্রয়ে আসর শুরু করা ম্যাচে দলের শুরুর একাদশে ছিলেন দি মারিয়া। পরে উরুগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলে জেতা ম্যাচে মাঠে নামেন বদলি হিসেবে। আবারও শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারায় খুশি পিএসজির তারকা।
“চিলির বিপক্ষে শুরুর একাদশে থাকার সুযোগ হয়েছিল। এরপর বেঞ্চে ছিলাম। যখনই দলে এসেছি তখনই আমি প্রমাণ করেছি, আমি খেলতে সক্ষম। আজ আমাকে সুযোগ দিয়েছে এবং আবার আমি এটা প্রমাণ করেছি।”
“দলের ২৮ জন খেলোয়াড়েরই খেলার সম্ভাবনা থাকে। যারা এখানে আছে তারা কোনো কারণেই আছে। এটা যদি আমি বুঝি, আমি আমার সেরাটা দেব এবং দিই। যদি না পারি, বাইরে থেকে দলকে সমর্থন দেব।”
ক্লাব ফুটবলে দীর্ঘ এক মৌসুম শেষে বিশ্রাম নেই ফুটবলারদের। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুটি ম্যাচ খেলার পর এখন তারা খেলছেন কোপা আমেরিকায়। দি মারিয়া জানালেন, প্যারাগুয়ের বিপক্ষে তারা বেশ ক্লান্ত ছিলেন।
“জয়ের মানসিকতা নিয়েই আমরা ম্যাচটা শুরু করি, যা গুরুত্বপূর্ণ এবং এরপর আমরা এভাবে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের বেশ কিছু গোল করার সুযোগ ছিল, পারিনি। আমাদের দলে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছিল। খেলোয়াড়রা ছিল খুবই ক্লান্ত। এটা মাঠেই দেখা গেছে এবং এটা সহজ ছিল না।”