বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের চেনা আঙিনায় ফিরলেন একেএম নওশেরুজ্জামান। কিন্তু নিরব-নিথর হয়ে। সদা হাসি-খুশি মানুষটি করোনাভাইরাসের বিপক্ষে লড়াইয়ে পেরে ওঠেননি। কিন্তু খেলোয়াড়ী জীবনে যা পেরেছিলেন, যা করেছিলেন, তা ঈর্ষণীয়। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই খেলোয়াড়কে নিয়ে স্মৃতিচারণে একসময়ের সতীর্থদের চোখ ভিজে উঠল।
Published : 22 Sep 2020, 03:07 PM
চলতি মাসের শুরুর দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন নওশের। সোমবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে তার জানাযায় অংশ নিতে এসে কণ্ঠ ভারী হয়ে উঠল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় আব্দুস সাত্তারের। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফুটবল দলের সেই সংগ্রামী দিনগুলোতে ফিরে গেলেন তিনি।
“ভারতের ক্যাম্পে আমরা এক সঙ্গে ছিলাম। নওশের ভাই সবাইকে উৎসাহ দিতেন। হাসি-খুশি মানুষ ছিলেন। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের জন্য তার অবদান অনেক। তার অবদান ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সবসময় অনুপ্রেরণা দিতেন। সহযোগিতা করতেন। এই মাঠে উনি খেলে গেছেন। আজ এই মাঠেই তার জানাযা হচ্ছে। ভাবতেই খারাপ লাগছে।”
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপ ছিল ফুটবল ও ক্রিকেট খেলা নওশেরুজ্জামানের। সে হতাশা নিয়েই চিরবিদায় নিলেন তিনি। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সতীর্থ আব্দুল গাফফারের কথাতেও উঠে এলো সেই আক্ষেপ।
“স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল স্বীকৃতি পায়নি; এ নিয়ে অনেক আক্ষেপ ছিল তার। আর তা না দেখেই চলে যেতে হলো তাকে।”
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ভারতে ১৬টি ম্যাচ খেলেছিল। ওই প্রীতি ম্যাচ থেকে পাওয়া অর্থ মুক্তিযুদ্ধের ফান্ডে জমা করেছিল তারা।