ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত খেললেন নেইমার। গোল করলেন ও করালেন। গোল পেলেন আক্রমণভাগে তার সঙ্গী এদিনসন কাভানি ও কিলিয়ান এমবাপেও। আর তাতে সেল্টিককে উড়িয়ে দিল পিএসজি।
Published : 23 Nov 2017, 02:44 AM
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে সেল্টিককে ৭-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। দুটি করে গোল করেন নেইমার ও কাভানি। অপর তিন গোলদাতা এমবাপে, মার্কো ভেরাত্তি ও দানি আলভেস।
সেপ্টেম্বরে স্কটল্যান্ডের এই দলকেই ৫-০ গোলে হারিয়েই টুর্নামেন্টে যাত্রা শুরু করেছিল উনাই এমেরির দল।
সমর্থকদের সামনে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল খেয়ে বসে পিএসজি। দানি আলভেসের ভুলে কর্নার পায় অতিথিরা। গড়ানো কর্নার থেকে ডি-বক্সে বল পেয়ে ফরাসি ফরোয়ার্ড মুসা দেম্বেলের নেওয়া জোরালো শট এদিনসন কাভানির গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। বলে হাত লাগিয়েছিলেন গোলরক্ষক আলফুঁস আরিওলা; কিন্তু ঠেকাতে পারেননি।
২২তম মিনিটে আবার রাবিওর বাড়ানো বল ধরে মার্কো ভেরাত্তির সঙ্গে একবার বল দেওয়া নেওয়া করে ডি-বক্সে ঢুকে সামনে থাকা এক ডিফেন্ডারকে কোনো সুযোগই না দিয়ে কোনাকুনি শটে দ্বিতীয় গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
ছয় মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান কাভানি। এই গোলেও জড়িয়ে নেইমারের নাম। ডান দিক থেকে আলভেসের ক্রসে বল নেইমারের কাঁধে লেগে ছয় গজের বক্সে গেলে আলতো টোকায় তা জালে পাঠিয়ে দেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার।
৩৫তম মিনিটে গোলদাতার তালিকায় নাম লেখান আক্রমণভাগের অন্য সদস্য এমবাপে। মার্কিনিয়োসের পাস পেয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন তরুণ ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। গোলরক্ষক বলে হাত লাগালেও ঠেকাতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ ধরে রাখা পিএসজি ৭২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারতো। কিন্তু ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি এমবাপে। এর তিন মিনিট পরই সেল্টিক তাদের ডি-বক্সে বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে নিচু কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ভেরাত্তি।
এ নিয়ে এবারের আসরে সমান ছয়টি করে গোল করলেন নেইমার ও কাভানি। আট গোল নিয়ে তালিকার শীর্ষে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।
পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে জিতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষেই আছে পিএসজি। অন্য ম্যাচে অ্যান্ডারলেখটকে তাদেরই মাঠে ২-১ গোলে হারানো বায়ার্ন মিউনিখ ১২ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।
আগেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করা এই দুই দল শেষ রাউন্ডে মুখোমুখি হবে। বায়ার্নের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ফিরতি লেগের ওই লড়াইয়ে নির্ধারণ হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে সেল্টিক। অ্যান্ডারলেখটের পয়েন্ট ০।
‘ডি’ গ্রুপে ইউভেন্তুসের মাঠে গোলশূন্য ড্র করে পরের রাউন্ডে উঠে গেছে বার্সেলোনা। তিন জয় ও দুই ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।
তিন পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে শেষ ষোলোতে কাতালান দলটির সঙ্গী হওয়ার লড়াইয়ে আছে ইউভেন্তুস।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে গ্রিসের অলিম্পিয়াকোসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে নকআউট পর্বের আশা টিকিয়ে রেখেছে পর্তুগালের স্পোর্তিং।
‘সি’ গ্রুপে উইলিয়ানের জোড়া গোলে আজারবাইজানের ক্লাব কারাবাখকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে চেলসি। ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে নিজেদের মাঠে রোমাকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোয় ওঠার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ইতালির ক্লাব রোমা। ২ পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় স্থানে স্পেনের ক্লাব আতলেতিকো।
‘এ’ গ্রুপে বাসেলের মাঠে ১-০ গোলে হেরে গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষেই আছে জোসে মরিনিয়োর দল। ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সুইজারল্যান্ডের দল বাসেল।
অন্য ম্যাচে পর্তুগালের দল বেনফিকাকে ২-০ গোলে হারিয়ে সমান ৯ পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা ধরে রেখেছে স্পার্তাক মস্কো।