সাদ উদ্দিন ও রুবেল মিয়ার গোলে এএফসি কাপে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারানোর পর শিষ্যদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন দ্রাগো মামিচ। আবাহনীর এই কোচের মতে নির্দিষ্ট কেউ নয়, পুরো দলই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। দলও পেয়েছে ধৈর্য ধরার পুরস্কার।
Published : 03 May 2017, 09:39 PM
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার শেষ দিকে দুই গোলে ভারতের আই লিগের চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরুকে ২-০ ব্যবধানে হারায় আবাহনী। প্রথম লেগে বেঙ্গালুরুর মাঠে একই ব্যবধানে হেরেছিল মামিচের দল।
ম্যাচ শেষে আবাহনী কোচ বলেন, “আমরা শক্তিশালী একটি দলের বিপক্ষে খেলেছি। আপনারা দেখেছেন শেষ বিশ মিনিট তারা গোলের জন্য কিভাবে আক্রমণ করেছে। তবে আমরা ধৈর্য ধরেছি; প্রথম লেগে যে ভুলগুলো করেছিলাম, তার পুনরাবৃত্তি করিনি এবং সূচারুভাবে গোলগুলো করেছি; এসব কারণেই জয় পেয়েছি।”
“আমি খুশি সব প্রশংসা ছেলেদের। রুবেল ভালো করেছে; ফুটবলকে সে ভালোবাসে; খেলাটার প্রতি তার নিষ্ঠা আছে এবং নিজের সামর্থ্যও জানে। সে সুযোগ পেয়েছে এবং কাজেও লাগিয়েছে। সাদও বদলি নেমে ভালো করেছে। তবে আমি মনে করি, পার্থক্যটা আসলে পুরো দলই গড়ে দিয়েছে।”
৮১তম মিনিটে নাসিরউদ্দিন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পাওয়ায় শক্তি কমে আবাহনীর। কিন্তু ৮৭তম মিনিটে সাদের দারুণ ভলিতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রুবেল। মামিচ জানালেন নাসিরউদ্দিনের বিদায়ের সময় শিষ্যদের ধৈর্য ধরার বার্তাই দিয়েছিলেন তিনি।
“আমি জানি না, কি কারণে নাসিরউদ্দিন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেলো। তবে ওই সময় আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল মোমেন্টাম ধরে রাখা। গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ধৈর্য ধরে রাখা। তারা যেন তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে না ওঠে, কেননা সেটা করলে তারা আমাদের শাস্তি দেবে।”
“এরপর আমরা যখন প্রথম গোল পেলাম, আমাদের লক্ষ্য ছিল সেটা ধরে রাখা। আপনারাও দেখেছেন, তারা শেষ দিকে গোলের জন্য কিভাবে চেষ্টা করেছে। তাদের কিছু লম্বা খেলোয়াড় ছিল। তবে আমাদের গোলরক্ষক কিছু দারুণ সেভ করেছে।”