চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
দলের খেলোয়াড়দেরও সময়টা আনন্দে কাটাতে বললেন রেয়াল মাদ্রিদ কোচ।
Published : 27 May 2024, 07:07 PM
রোমাঞ্চ-উত্তেজনা, শঙ্কা-উৎকণ্ঠা- চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের আগে এসব অনুভূতি যেকোনো দলের মাঝে কাজ করা স্বাভাবিক। সেই সঙ্গে চলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা সাজানো, প্রতিপক্ষকে হারানোর ছক আঁকা। তবে রেয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তির ভাবনা ভিন্ন। তার মতে, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগের সময়টা উপভোগ করাই হবে সেরা প্রস্তুতি।
আগামী শনিবার লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে হবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক আর কৌশলগত দক্ষতার জন্য পরিচিত আনচেলত্তি ফুটবল বিশ্বের সফল কোচদের একজন। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগেই শিরোপা জয়ী প্রথম কোচ তিনি। তার হাত ধরে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতাটিতে পঞ্চদশ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার অপেক্ষায় রেয়াল। আগের ১০ বছরেই এর পাঁচটি ট্রফি জিতেছে তারা।
ইউরোপ সেরার ক্লাব প্রতিযোগিতায় দারুণ সফল আনচেলত্তি। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে আসছে ম্যাচটি এই প্রতিযোগিতায় তার অষ্টম ফাইনাল। এসি মিলানের হয়ে দুটি ফাইনাল খেলে শতভাগ সফল তিনি। আর কোচ হিসেবে এটি হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার ষষ্ঠ শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ।
এসি মিলানের কোচ হিসেবেও দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী আনচেলত্তি রেয়ালকেও এই শিরোপা এনে দিয়েছেন দুইবার। আরেকটি ফাইনালের আগে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে দলের খেলোয়াড়দের সময়টা উপভোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
“এই সপ্তাহটা উপভোগ করার জন্য। চ্যালেঞ্জ, প্রতিপক্ষ…শুক্রবার পর্যন্ত সময়টা আমরা উপভোগ করব। ফাইনালে পৌঁছানো সবসময়ই বড় সাফল্য।”
“আমরা অনেক আত্মবিশ্বাসী। ফেভারিট হওয়া নিয়ে আমরা ভাবি না। আমাদের এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলতে হবে যারা পিএসজি, আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারানোর পথে খুব ভালো খেলেছে। তারা ভালো করার প্রতিশ্রুতি ও দৃঢ়তা দেখিয়েছে।”
চোটের কারণে এবারের মৌসুমে লম্বা সময় ধরে গুরুত্বপূর্ণ অনেক খেলোয়াড়কে পায়নি রেয়াল। তবুও দলকে সঠিক পথে রাখতে পেরেছেন আনচেলত্তি। চার ম্যাচ বাকি থাকতেই লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে তার দল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও উঠেছে তারা কঠিন সব চ্যালেঞ্জ উৎরে।
এমন ম্যাচের জন্য নিজেদের কীভাবে প্রস্তুত করতে হয়, বেশ ভালোই জানেন আনচেলত্তি। নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে বললেন, আসছে সময়টা কেবল আনন্দে কাটাতে চান তিনি। সঙ্গে জানালেন, দলের খেলোয়াড়দের ওপর অগাধ আস্থার কথা।
“বড় ম্যাচের প্রস্তুতি সবসময় একই থাকে, মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের নায়ক হওয়ার রোমাঞ্চ কাজ করে। খেলোয়াড়ি জীবনের সময় বিবেচনায় নিলে, ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় এটা আমার নবম ফাইনাল (একটি ফাইনাল অবশ্য খেলতে পারেননি)। তিনটি খেলোয়াড় হিসেবে ও কোচ হিসেবে ষষ্ঠ। (ফাইনালের আগের) সপ্তাহটা সবসময়ই একইরকম: আনন্দ এবং এরপর দুশ্চিন্তা। ভীতিকর পরিস্থিতি আসবেই, তবে এটা আসার আগে সময়টা আমি উপভোগ করব।”
“শনিবার বিকালে চরম ভয় ও দুর্ভাবনা কাজ করবে। খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার, প্রতি ম্যাচেই এমন পরিস্থিতি আসে এবং আমার এই অভিজ্ঞতা আছে। দলের ওপর অগাধ আস্থা আছে আমার। তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের মুডে আছে।”