আন্তর্জাতিক ফুটবল
স্বদেশি খেলোয়াড়দের স্প্যানিশ লা লিগার দলগুলোতে যাওয়ার তাগিদ দিলেন ব্রাজিলের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জেতা কাফু।
Published : 28 Jun 2024, 08:57 PM
২০০২ সালে পঞ্চম বিশ্বকাপ জয়ের পর গড়িয়েছে পাঁচটি আসর, কিন্তু ব্রাজিলের ‘হেক্সা’ পূরণের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেছে। হতাশার এই পথচলা কবে শেষ হবে, কে জানে। তবে ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু মনে করেন, অর্থ-বিত্ত, প্রশংসার মোহে তার উত্তরসূরিরা যত বেশি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পাড়ি জমাবে, ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের আশা ক্ষীণ হবে ততই।
২০২৩-২৪ মৌসুমে ৩০ জন ব্রাজিলিয়ান খেলেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। সেখানে স্প্যানিশ লা লিগায় মাত্র ১৬ জন। তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরা রাইট-ব্যাক কাফুর দাবি, ইংল্যান্ডে হরহামেশা খেলোয়াড়দের ‘সেরা’ বলে দেওয়া হয়, যেখানে তারা সেরার ধারেকাছেও থাকে না!
স্পেনে এ ধরনের ফাঁকাবুলি আওড়ানো হয় না, ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহ, নিজেদের মেলে ধরার তাড়না সেখানে থাকে বলে মনে করেন ১৯৯৪ ও ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ী এই ডিফেন্ডার।
“আমি ভীত যে, যত বেশি ব্রাজিলিয়ান ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলতে যাবে, ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ ততই কমবে। কল্পনা করে দেখুন, যেখানে আপনি সেরার ধারেকাছেও নেই, সেখানে ‘তুমিই সেরা’-প্রতি সপ্তাহে এটা সেখানকার গণমাধ্যমে বলে কিভাবে মগজ ধোলাই করা হয়।”
“এদিক থেকে আমি লা লিগাকে এগিয়ে রাখি। কেননা, ফাইনালে ওঠা এবং সেটা জয়ের উঁচু মানসিকতা সেখানে আছে। লা লিগায় টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে কেউ ফাঁকা বুলি আওড়ায় না, স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের নিয়ে মিথ্যা বলে না বা বিশ্বের সামনে তাদের প্রচারও করে না। সেখানে তারা কথা বলে ফুটবল নিয়ে, মিথ নিয়ে নয়।”
এ মুহূর্তে কোপা আমেরিকার মিশনে আছে ব্রাজিল। তবে দরিভাল জুনিয়রের দলের শুরুটা হয়েছে একেবারেই সাদামাটা। তুলনামূলক কম শক্তির দল কোস্টা রিকার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে প্রতিযোগিতার ২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
সবশেষ ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপেও তেতো অভিজ্ঞতা হয়েছিল ব্রাজিলের। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হেরে কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে ছিটকে যায় তারা।