ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
দলে কিছু জায়গায় ঘাটতি আছে বলেও জানালেন ইংল্যান্ড কোচ।
Published : 17 Jun 2024, 07:19 PM
স্ট্রাইকিং পজিশনে হ্যারি কেইন, দুই উইংয়ে ফিল ফোডেন ও বুকায়ো সাকা আর মাঝে জুড বেলিংহ্যাম-নামের ভারে যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্যই ভয়ঙ্কর আক্রমণভাগ। কিন্তু এই শক্তিই সার্বিয়ার বিপক্ষে মুখ থুবড়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ইংলিশরা জয় পেলেও তাদের পারফরম্যান্স ছিল না প্রত্যাশার কাছাকাছি। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পথচলার শুরুতে এমন সাদামাটা পারফরম্যান্স যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ, তবে ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট এর মাঝেই খুঁজে নিচ্ছেন ইতিবাচক দিক।
ইউরোপ সেরার মুকুট কখনোই পরতে পারেনি ইংল্যান্ড। পুরুষ আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাদের একমাত্র সাফল্য ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জয়। ইউরোর গত আসরে শিরোপার দীর্ঘ খরা কাটানোর খুব কাছে এসেছিল তারা; কিন্তু ফাইনালে হেরে যায় ইতালির বিপক্ষে।
এবারও জয়ের স্বপ্নে বিভোর ইংলিশরা। তাদের স্কোয়াডে চোখ রাখলে দারুণ সম্ভাবনাও দেখা যায়। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সে শুরুটা তাদের ঠিক প্রত্যাশিত হয়নি।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচেও ভুগতে হয়েছিল সাউথগেটের দলকে। ঘরের মাঠে হেরে যাওয়া ওই ম্যাচে বাজে পারফরম্যান্সের জন্য সমর্থকদের থেকেই দুয়ো শুনতে হয় তাদের। তবে কোচ আশার বানী শুনিয়েছিলেন, মূল টুর্নামেন্ট শুরু হলেই ঠিক হয়ে যাবে সব।
মূল অভিযানের শুরুর ম্যাচে জয়টা অবশ্য ঠিকই মুঠোবন্দি করেছে ইংল্যান্ড; কিন্তু তাদের পারফরম্যান্সের বিবর্ণতা কাটেনি। অথচ, বেলিংহ্যামের দারুণ হেডে ম্যাচের ত্রুয়োদশ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। এমন শুরু পাওয়ার পরও ধুঁকতে থাকে দলটি। পুরো ম্যাচেই আর সেভাবে ছন্দে দেখা যায়নি তাদের তারকাসমৃদ্ধ আক্রমণভাগকে।
দ্বিতীয়ার্ধে কেইনের একটি প্রচেষ্টা গোলরক্ষকের হাত হয়ে ক্রসবারে বাধা পায়, এই অর্ধে এটাই তাদের একমাত্র পরিষ্কার সুযোগ ছিল। বাকি সময় বরং সার্বিয়াই চাপ ধরে রাখে এবং তাদের আক্রমণের মুখে বারবার ইংল্যান্ডের রক্ষণ উন্মুক্ত হয়ে পড়তেও দেখা যায়।
সব মিলিয়ে, ফেভারিটদের একটি দল হলেও পারফরম্যান্সে তা দেখাতে পারেনি ইংল্যান্ড। তবে এতে বেশি দুর্ভাবনার কিছু দেখছেন না সাউথহেট। ম্যাচের পর তিনি বলেন, প্রয়োজনের সময় দলের লড়াই করে টিকে থাকতে পারাটা ভালো দিক।
“আমি খুশি যে, আমাদের (শক্তির) ভিন্ন একটি দিক দেখাতে হয়েছে। দেখাতে হয়েছে, কঠিন সময়েও শান্ত থেকে ঘর সামলানোর মনোভাব, কারণ আমার মতে একটা দল হিসেবে যা আসলেই দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের ভিত তৈরি করে দেয়।”
“আমাদের দল একটা পর্যায়ে কিছুটা শক্তি হারিয়ে ফেলেছিল, আর এতে আমি খুব একটা অবাক হইনি, কারণ অনেক খেলোয়াড়ের ৯০ মিনিট খেলার ঘাটতি আছে…আমার মতে, প্রথমার্ধে যেভাব খেলেছি সেভাবেই আমরা আরও বেশি কার্যকর হতে পারি, সেটা আমাদের সাহায্যও করবে।”
তবে দলে এখনও উন্নতির যথেষ্ট জায়গা আছে, বললেন সাউথগেট।
“কিছু বিষয়ে আমাদের ঘাটতি আছে, সম্ভাব্য সেরা সমাধান খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। আমাদের টুর্নামেন্টে আসার পথটা ছিল কিছুটা জটিল, তবে এই গ্রুপের স্পিরিট দারুণ এবং আজ রাতে সবাই তা দেখেছে। আমরা এখান থেকে অবশ্যই উন্নতি করব, এগিয়ে যাব।”